ঈদুল ফিতরের বাকি মাত্র এক বা দুই দিন। প্রিয়জনদের সঙ্গে ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করতে বাড়ির পানে ছুটছেন মানুষ। ঘরমুখো মানুষের পদচারণায় মুখর রাজধানীর কমলাপুর বিমানবন্দরসহ রেলের সব স্টেশন।
ঈদযাত্রার শেষ দিকে প্রতিটি ট্রেনে ছিল ঘরমুখো যাত্রীর উপচেপড়া ভিড়। সিটে বসে প্রতিটি ট্রেন ৬ থেকে ৭ শ যাত্রী ভ্রমণ করতে পারলেও তার কয়েকগুণ বেশি যাত্রী বগিতে গাদাগাদি করে দাঁড়িয়ে নিজ নিজ গন্তব্যে যাচ্ছেন। এমনকি নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও পুলিশি বাধা উপেক্ষা করে ছাদে উঠেছেন অসংখ্য যাত্রী। ছাদের ওপরেও তিল ধারণের ঠাঁই নেই। জায়গা না পেয়ে অনেকে ট্রেনের টয়লেটে দাঁড়িয়ে গন্তব্যে যাচ্ছেন।
বিজ্ঞাপন
রোববার (১ মে) সকালে কমলাপুর, বিমানবন্দর ও টঙ্গী স্টেশনে এমন চিত্র দেখা গেছে।
টিকিট কিনেও কমলাপুরে অনেককে ট্রেনে উঠতে না পারার অভিযোগ শোনা গেছে অনেক যাত্রীর কাছ থেকে। তারা বলছেন, বিমানবন্দর থেকে শত শত যাত্রী আগেভাগে ট্রেনে উঠে সিট দখল করে বসে আছে। তারা সহজে সিট ছাড়তে চাচ্ছেন না।
কমলাপুরে ট্রেনে আসার সঙ্গে সঙ্গে অনেকে হুড়োহুড়ি করে উঠতে পারলেও বয়স্ক এবং নারী-শিশুরা টিকিট থাকা সত্ত্বেও নিজেদের সিটে যেতে পারছেন না। ব্যাগসহ বাচ্চাদের নিয়ে বগিতে চলাচল করে সিট খুঁজতে তাদের বেগ পেতে হচ্ছে। দরজা দিয়ে ঢুকতে না পেরে অনেকে জানালা দিয়ে ভেতরে ঢুকছেন।
বিমানবন্দর স্টেশনে পৌঁছার পর শত শত যাত্রী একত্রে ট্রেনে ওঠার চেষ্টা করছে। এর ফলে সেখানেও অনেক টিকিটধারী যাত্রী ট্রেনে উঠতে পারননি। বহু যাত্রীকে ছাদে উঠতে দেখা গেছে। অনেক নারী ও শিশুকে টেনে হিঁচড়ে ছাদে তুলতেও দেখা যায়, এর ফলে অনেকেই আঘাত পেয়েছেন।
বিজ্ঞাপন
টঙ্গী স্টেশনেও ছিল যাত্রীর অনেক চাপ। সেখানেও অনেকে ট্রেন উঠতে পারেননি। ভিড়ের চাপে অনেকেই ট্রেনের টয়লেটে ঢুকে ঈদযাত্রা করতে দেখা গেছে। এর ফলে টয়লেটের চাপ এলেও অনেকে ভেতরে ঢুকতে পারছেন না। যদিও রেল পুলিশ ও রেলের টিটিদের তেমন সহায়তা না পাওয়ার অভিযোগ যাত্রীদের।
যাত্রীতে ঠাসার কারণে যাত্রীদের হাঁসফাঁস অবস্থা। বিশেষ করে নারী ও শিশুদের অবস্থা বেশি খারাপ। তবে ট্রেনের এসি বগিতে বিনা টিকেটের যাত্রীদের চাপ নেই।
রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, গতকালের তুলনায় আজ রেলে চাপ কিছুটা কমেছে। আজও ঈদযাত্রার ট্রেন চালাচ্ছে রেলওয়ে। নিয়মিত আন্তঃনগর ট্রেনের পাশাপাশি ছয় জোড়া স্পেশাল ট্রেন চলছে। তবে পশ্চিমাঞ্চলের ট্রেনগুলোতে অসম্ভব ভিড় বা যাত্রীর চাপ রয়েছে বলে স্টেশন ম্যানেজার (ভারপ্রাপ্ত) আমিনুল ইসলাম জানিয়েছেন।
তিনি মনে করছেন, আজ যাত্রীর চাপ থাকলেও আগামীকাল থেকে তা কমে যাবে। রেলে প্রতিদিন ৬০-৭০ হাজার যাত্রী ঢাকা ছাড়ছেন বলে জানা গেছে।
টিএ/এমআর