ঈদের বাকি মাত্র দুই দিন। নাড়ির টানে ঢাকা ছাড়ছেন লাখ লাখ মানুষ। রাজধানীর কমলাপুর ও বিমানবন্দর স্টেশনে একটি ট্রেন প্লাটফর্মে আসার সঙ্গে সঙ্গে উপচে পড়ছে যাত্রীর ঢেউ। ঠেলাঠেলি করে ট্রেনে উঠতে পারলেও অনেকেই নির্দিষ্ট আসনে বসতে পারছেন না। বিশেষ করে শিশু ও নারীদের ট্রেনে উঠতে অনেক কষ্ট হচ্ছে। অনেককে জানালা দিয়েও ট্রেনে উঠতে দেখা গেছে। এছাড়া অনেক যাত্রী ঝুঁকি সত্ত্বেও ট্রেনের ছাদে উঠছেন। কর্তৃপক্ষের সতর্কতার তোয়াক্কা করছেন না তারা।
ট্রেন ছাড়ার আগমুহূর্তে স্ট্যান্ডিং টিকিটের যাত্রীদের সঙ্গে বিনা টিকিটের যাত্রীরাও হুড়মুড় করে ট্রেন উঠছেন। ঠেলাঠেলিতে অনেকে আঘাত পাচ্ছেন, আবার অনেকের ব্যাগ ছিনতাই হয়ে যাচ্ছে এমন অভিযোগও পাওয়া গেছে।
বিজ্ঞাপন
শনিবার (৩০ এপ্রিল) সরেজমিন দেখা গেছে, কোনো ট্রেনের ভেতরে তিল ধারণের জায়গা নেই। বাধ্য হয়ে নারী-পুরুষ নির্বিশেষে অনেকেই ছাদে উঠতে বাধ্য হচ্ছেন। রেল পুলিশ ছাদের যাত্রীদের নামানোর চেষ্টা করলেও কোনো কাজ হয়নি। যাত্রীরা ঝুঁকি নিয়ে ছাদে চড়ে দূর দূরান্তে যাচ্ছেন। তারা বলছেন, টিকিট পাননি, এজন্য একটু ঝুঁকি নিয়েই তারা যাচ্ছেন।
শনিবার (৩০ এপ্রিল) রাজধানীর কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে নির্ধারিত সময়ে ট্রেন ছেড়ে যেতে দেখা গেছে। কোনো কোনো ট্রেন ৩০-৩৫ মিনিট দেরিতে ছাড়লেও বড় ধরনের কোনো শিডিউল বিপর্যয় ছিল না।
কমলাপুর রেলস্টেশন কর্তৃপক্ষ বলছে, অগ্রিম টিকিট কাটা যাত্রীরা যেন নির্বিঘ্নে তাদের গন্তব্যে যেতে পারেন সে বিষয়ে নিরলসভাবে কাজ করছেন তারা। আর ছাদে চড়ে ঝুঁকি নিয়ে ট্রেনযাত্রার বিষয়ে রেল পুলিশ জানিয়েছে, তারা বারবার মাইকিং করে সতর্ক করছেন। কেউ উঠলে তাদের নামিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
বিজ্ঞাপন
কমলাপুর রেলস্টেশনের ভারপ্রাপ্ত ম্যানেজার আমিনুর ইসলাম ঢাকা মেইলকে বলেন, শিডিউল অনুযায়ী ট্রেনগুলো যেন কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে ছেড়ে যেতে পারে, সে বিষয়ে আমরা কাজ করছি। এরই ধারাবাহিকতায় আজ সকাল থেকে বড় কোনো শিডিউল বিপর্যয়ের খবর নেই। প্রতিটি ট্রেন নির্ধারিত সময়ের ২০-২৫ মিনিটের কাছাকাছি সময়ে স্টেশন থেকে ছেড়ে গেছে। আশা করি বাকি ট্রেনগুলোও সময়ে ছাড়তে পারবো।
এর আগে গতকাল শুক্রবারও ট্রেনগুলো নির্ধারিত সময়ে কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে ছেড়ে গেছে। এদিন জামালপুর এক্সপ্রেস, নীলসাগর এক্সপ্রেস, সুন্দরবন এক্সপ্রেস, একতা এক্সপ্রেস, ধুমকেতু এক্সপ্রেস, রংপুর এক্সপ্রেস, তিতাস কমিউটার ছেড়ে গেছে নির্ধারিত সময়ে।
টিএ/জেবি