ঈদযাত্রার চতুর্থ দিনেও রাজধানী ছাড়ছে নগরবাসী। শনিবার (৩০ এপ্রিল) কমলাপুর স্টেশনে ঘরমুখো যাত্রীদের ছিল উপচেপড়া ভিড়।
শনিবার (৩০ এপ্রিল) সকালে ধূমকেতু এক্সপ্রেস ৪০ মিনিট এবং নীলসাগর এক্সপ্রেস ৪৫ মিনিট দেরিতে ছেড়ে যায়।
বিজ্ঞাপন
ধূমকেতু সকাল ৬টায় ছেড়ে যাবার কথা থাকলেও সেটি স্টেশন ছাড়ে ৬টা ৪০ মিনিটে। আর ৬টা ৪০ মিনিটে নীলসাগর স্টেশন ছাড়ার কথা থাকলেও সেটি স্টেশন ছেড়েছে ৭টা ২৫ মিনিটে। তবে বাকি ট্রেনগুলো কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে সঠিক সময়েই ছেড়েছে।
নির্দিষ্ট সময়ের আগেই হাজারো ঘরমুখো মানুষের পদচারণায় মুখর হয়ে ওঠে পুরো স্টেশন। ভোগান্তি এড়াতে যাত্রীরা ট্রেন ছাড়ার এক থেকে দুই ঘণ্টা আগেই স্টেশনে পৌঁছান।
ভোরের ট্রেন ধরতে অনেকেই আবার সেহরির পরপরই স্টেশনে আসেন। কমলাপুর স্টেশনে বিনা টিকিটে কেউ প্রবেশ করতে পারছেন না, মেইন গেটে টিকিট প্রদর্শন করেই প্রবেশের অনুমিত মিলছে। যারা টিকিট পাননি, তারাও নিতে পারছেন স্ট্যান্ডিং টিকিট।
কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন ঘুরে দেখা যায়, এদিন ভোর থেকেই সবগুলো প্ল্যাটফর্মে যাত্রীদের ভিড় ছিল। একে তো গরম, এরপর আবার বেশি লোকসমাগমের কারণে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে প্ল্যাটফর্মে অপেক্ষারত যাত্রীদের। গরমে শিশুদের কিছুটা প্রশান্তি দিতে অনেক অভিভাবককে হাত পাখা দিয়ে তার সন্তানদের বাতাস করতে দেখা যায়।
বিজ্ঞাপন
ঈদযাত্রার প্রথম দুইদিন বুধ ও বৃহস্পতিবার স্বাভাবিক ভিড় থাকলেও শুক্রবার সকাল থেকেই বেড়েছে যাত্রীর চাপ। কমলাপুর স্টেশনের প্ল্যাটফর্মে তিল ধারনের জায়গা ছিল না শুক্রবার, আজও একই অবস্থা।
ঘরমুখো যাত্রীরা বলছেন, গ্রামের বাড়ির উদ্দেশে যাত্রা করা মানে অনেক আনন্দের। করোনার কারণে গত দুই বছর বাড়ি গিয়ে পরিবারের সঙ্গে ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করতে না পারায় এবার বাড়ি যাচ্ছেন তারা।
গত বুধবার (২৭ এপ্রিল) থেকে এবারের ঈদযাত্রা শুরু করে রেলওয়ে। তবে প্রথম দুইদিন (বুধ ও বৃহস্পতিবার) যাত্রীর চাপ তেমনটা না থাকলেও শুক্রবার থেকে তা বেড়েছে।
ঈদযাত্রা শেষে ট্রেনের ফিরতি টিকিট বিক্রি শুরু হবে ১ মে থেকে। এবারের ঈদযাত্রার সুবিধার্থে ছয় জোড়া বিশেষ ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।
ঈদ উপলক্ষে গত শনিবার (২৩ এপ্রিল) থেকে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হয়।
টিএই/এমআর