পঞ্চগড়ের বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর দিয়ে নেপালে গেল আরও ১০৫ মেট্রিক টন আলু। এতে করে দেশের এ চারদেশীয় স্থলবন্দরটি আলু রফতানিতে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।
বুধবার (১৯ মার্চ) বিকেলে বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর দিয়ে ৫টি ট্রাকে আলুগুলো নেপালে যাওয়ার তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরের উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের কোয়ারিনটিন ইন্সপেক্টর উজ্জ্বল হোসেন।
বিজ্ঞাপন
তিনি জানান, কয়েকদিন পর আজ বুধবার দুপুরে ৫টি গাড়িতে আরও ১০৫ মেট্রিক টন আলু নেপালে গেছে। প্রতি গাড়িতে ছিল ২১ মেট্রিক টন আলু। আলুগুলো পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়েছে। এ পর্যন্ত ১৫৫৪ মেট্রিক টন আলু নেপালে গেছে।
এ আলু কারা রফতানি করছে জানতে চাইলে উজ্জ্বল হোসেন জানান, আজকে থিংকস টু সাপ্লাই ও ফাস্টডেলিভারী এ আলুগুলো থিংকস টু সাপ্লাই নামের একটি রফতানিকারক প্রতিষ্ঠান। এর মধ্যে থিংকস টু সাপ্লাই ৪২ ও ফাস্ট ডেলিভারি ৬৩ মেট্রিক টন। এছাড়াও বন্দরটি দিয়ে হুসেন এন্টারপ্রাইজ, ক্রসেস অ্যাগ্রো, সুফলা মাল্টি প্রোডাক্টস লিমিটেড ও লোয়েড বন্ড লজেস্টিক নামের কয়েকটি রফতানিকারক প্রতিষ্ঠানও নেপালে আলু রফতানি করছে। জাতগুলো হলো স্টারিজ এবং লেডিও রোজেটা।
উজ্জ্বল হোসেন আরও জানান, রফতানিকারকরা প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট অনলাইনে আবেদন করে উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রে ল্যাবে পরীক্ষা করার পর ফাইটো সেনেটারি সার্টিফিকেট ইস্যু করা হয়।
চারদেশীয় এ গুরুত্বপূর্ণ স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশ থেকে ভারত ও নেপালে পাট, ওষুধ, প্রাণ ও ওয়ালটনের পণ্য, জুস, মোটরসাইকেল, ব্যাটারিসহ নানা ধরনের পণ্য রফতানি হচ্ছে। অপরদিকে মসুর ডাল, গম, ভুট্টা, চিরতা, হাজমলা, যন্ত্রপাতি, প্লাস্টিক দানা, রেললাইনের স্লিপার, খইল, আদা ও চিটাগুড় আমদানি করা হয়।
বিজ্ঞাপন
প্রতিনিধি/ এজে