জিয়া সাংস্কৃতিক সংগঠন (জিসাস) রাজশাহী মহানগরের পরিচিতি সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রোববার (১৩ এপ্রিল) বিকেলে নগরীর রানীবাজার এলাকার একটি মিলনায়তনে এ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
বিজ্ঞাপন
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, ‘খুনি হাসিনার মূল উদ্দেশ্য ছিল বেগম খালেদা জিয়াকে বাড়ি থেকে বের করে দিয়ে তাঁকে নিঃশেষ করা।’
অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত করা হয়। এরপর পরিচিতি পর্ব এবং সংগঠনের নতুন কমিটির বিজয়ীদের ফুল দিয়ে বরণ করে নেওয়া হয়। সবশেষে দেশাত্মবোধক গান ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক, বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট এরশাদ আলী ঈশা।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিশারিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. দেলোয়ার হোসেন খান, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. হারুন-অর-রশিদ, জিসাস কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি, বিশিষ্ট চলচ্চিত্র অভিনেত্রী রোকেয়া সুলতানা কেয়া চৌধুরী, জিসাস কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি মোস্তফা আবু সালেক মানু, রাজশাহী মহানগরের সভাপতি অ্যাডভোকেট আবু মোহাম্মদ তারেক।
বিজ্ঞাপন
বক্তারা বলেন, জাতীয়তাবাদী শক্তিকে আগামী দিনে এগিয়ে নেওয়ার জন্য জিসাসকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে। শহীদ জিয়াউর রহমানের হাতে গড়া এই সংগঠনের প্রতি দেশের মানুষের অনেক প্রত্যাশা রয়েছে। এই প্রত্যাশা পূরণ করতে হলে তারেক রহমান ঘোষিত ৩১ দফা বাস্তবায়নের জন্য বিএনপির সকল সহযোগী সংগঠনকে সুসংগঠিত হয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।
তারা আরও বলেন, বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর দীর্ঘদিন ধরে জুলুম, নির্যাতন, হামলা-মামলা, খুন ও গুমের মাধ্যমে দলটিকে নিশ্চিহ্ন করার ষড়যন্ত্র করেছে স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা। খালেদা জিয়াকে গৃহবন্দী করে তাঁকে নিঃশেষ করার পরিকল্পনা ছিল তাঁর।
বক্তারা দাবি করেন, বিএনপির ১৭ বছরের আন্দোলন-সংগ্রামের ফসল হিসেবে ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালাতে বাধ্য হন। স্বৈরাচার বিতাড়িত হলেও দেশে এখনো গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়নি।
তারা বলেন, ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বিএনপির অনেক কিছু ধ্বংস হয়েছে। এখন আর হারানোর সময় নেই। সব ভেদাভেদ ভুলে বিএনপিকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে।
প্রতিনিধি/একেবি