সিএনজি স্ট্যান্ড দখল নিয়ে পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলায় বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে আবারও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে মনোয়ারুল ইসলাম নামের এক বিএনপি নেতা গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হয়েছেন। তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
রোববার (১৩ এপ্রিল) দুপুরে উপজেলার দাশুড়িয়া মোড়ে এ ঘটনা ঘটে। গুলিবিদ্ধ মনোয়ারুল ইসলাম দাশুড়িয়া ইউনিয়ন বিএনপির সহ-সভাপতি।
বিজ্ঞাপন
স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দাশুড়িয়া গোলচত্বর সিএনজি স্ট্যান্ড দখল করে চাঁদাবাজির অভিযোগ উঠেছে উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক রিপন প্রামানিক এবং তার ভাই, স্থানীয় শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি রকু প্রামানিকের বিরুদ্ধে। এ নিয়ে দাশুড়িয়া ইউনিয়ন যুবদল নেতা বিপুল মোল্লার সঙ্গে বিরোধ চলে আসছিল।
এই বিরোধের জেরে, এবং এক লেগুনা ও সিএনজি ড্রাইভারের মধ্যে বিরোধকে কেন্দ্র করে গত শুক্রবার দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে কয়েকজন আহত হন। সেই ঘটনার ধারাবাহিকতায় রোববার দুপুর দেড়টার দিকে আবারও সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে দুই পক্ষ। এতে দাশুড়িয়া ইউনিয়ন বিএনপির সহ-সভাপতি মনোয়ারুল ইসলাম গুলিবিদ্ধ হন।
তাকে প্রথমে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে তার অবস্থার অবনতি হলে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। এ ঘটনায় এখনও এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।
এ বিষয়ে ঈশ্বরদী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মনিরুল ইসলাম বলেন, “গত শুক্রবার দুই সিএনজি ড্রাইভারের ঝামেলাকে কেন্দ্র করে রকু প্রামানিক ও বিপুল মোল্লার মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটে। সেই ঘটনার রেশ ধরে আজকের এই সংঘর্ষ ঘটে। বিষয়টি তদন্তাধীন রয়েছে। বর্তমানে সেখানে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে এবং অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।”
বিজ্ঞাপন
তবে এ বিষয়ে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও রকু প্রামানিক ও বিপুল মোল্লার বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তারা উভয়ই পাবনা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিবের অনুসারী হিসেবে পরিচিত।
এ বিষয়ে হাবিবুর রহমান হাবিব বলেন, “পরশুদিন লেগুনা ও সিএনজি ড্রাইভারদের নিয়ে ঝামেলা হয়েছিল। সেই সমস্যা সমাধান করতে গিয়ে তাদের মধ্যে সামান্য হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। আমি বিষয়টি মীমাংসাও করে দিয়েছিলাম। কিন্তু আজকের ঘটনাটি অনাকাঙ্ক্ষিত। প্রশাসনের মাধ্যমে যারা এই ঘটনায় জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
প্রতিনিধি/একেবি