শুক্রবার, ১৭ মে, ২০২৪, ঢাকা

ওয়াসার খোঁড়াখুঁড়িতে ‘বিপদে’ তারা

কাজী রফিক
প্রকাশিত: ০২ এপ্রিল ২০২৪, ০২:৩৭ পিএম

শেয়ার করুন:

ওয়াসার খোঁড়াখুঁড়িতে ‘বিপদে’ তারা

পদ্মা নদীর পানি পরিশোধন করে রাজধানীর কিছু এলাকায় সরবরাহ করছে ঢাকা ওয়াসা। এবার রাজধানীর মোহাম্মদপুরের বাসিন্দাদেরও সরবরাহ করা হবে পদ্মার পানি। ডিটেইলড মিটারড এরিয়া বা ডিএমএ নেটওয়ার্কের মাধ্যমে এই পানি সরবরাহ করা হবে৷

এ লক্ষ্যে বাড়ি বাড়ি সংযোগ দিতে খোড়া হচ্ছে সড়ক। নতুন পাইপ লাইন বসিয়ে কোনোরকমে তা ঢেকে দেওয়া হচ্ছে। সুষ্ঠুভাবে এই কাজ না করায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ৩১ ও ৩৩নং ওয়ার্ডের বাসিন্দারা পড়েছেন। বিশেষ করে গর্ভবতী নারী ও অসুস্থ-বয়স্করা।


বিজ্ঞাপন


মোহাম্মদপুরের ৩৩নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা ও মুদি দোকানি মোহাম্মদ নীরব হোসেন ঢাকা মেইলকে বলেন, আমার বউ প্রেগনেন্ট ছিল। রিকশায় করে হাসপাতালে নিয়েছি৷ স্পিড ব্রেকার এমনিতেই একটা সমস্যা। তার ওপর ওয়াসার কাজের কারণে জায়গায় জায়গায় গর্ত। এই রাস্তা দিয়ে হাসপাতালে নেওয়া লাগছে। খুবই খারাপ অবস্থা হয়ে গিয়েছিল।

একই অভিযোগ করেছেন স্থানীয় বাসিন্দাদের অনেকেই। কেননা মোহাম্মদপুর ফার্টিলিটি সেন্টারে যেতে ৩১ ও ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের যেসব সড়ক ব্যবহার করতে হয়, তার বেশিরভাগই ওয়াসার খানাখন্দে পূর্ণ। যে কটি সড়ক ঠিকঠাক আছে, তাও থাকে যানজটের দখলে। ফলে অনেকটা বাধ্য হয়েই দ্রুত হাসপাতালে পৌছাতে ভাঙাচোরা সড়কের ভোগান্তি মাথায় নিতে হয় স্থানীয় বাসিন্দাদের।

শুধু গর্ভবতীরাই নন, বয়স্ক ও অসুস্থ মানুষের জন্যও দুর্ভোগ বয়ে এনেছে এসব গর্ত।


বিজ্ঞাপন


৩১নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মেহেদী হাসান ঢাকা মেইলকে বলেন, পুরো এলাকার একই অবস্থা। অসুস্থ মানুষের যাতায়াতে খুবই সমস্যা হয়। অনেক জোরে ঝাঁকুনি লাগে।

রিকশাযাত্রীদের সঙ্গে সঙ্গে চালকরাও আছেন চরম ভোগান্তিতে। সাগর নামে একজন রিকশাচালকের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, পারলে তো আমরা ওই রাস্তায় যাই না। জায়গায় জায়গায় গর্ত। যতই আস্তে চালাই, ঝাক্কি লাগেই। যাত্রী পেছনে থাকে, তাগো ঝাক্কি আরও বেশি লাগে। মহিলা যাত্রীরা ক্ষেইপা যায়৷ সমস্যা রাস্তার। আমগো কি করার আছে?

বিষয়টি সম্পর্কে অবগত স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরাও। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ৩১, ৩৩ ও ৩৪নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর রোকসানা আলম ভোগান্তির কথা স্বীকার করেছেন।

ঢাকা মেইলে তিনি বলেন, আমরা বিষয়টা জানি। তবে ভোগান্তি তৈরির কোনো যুক্তি নাই। তারা উন্নয়ন কাজ করছে ভালো কথা। কিন্তু ভোগান্তি সৃষ্টি করে নয়। অসুস্থ নারী ও বয়স্কদের খুবই অসুবিধা হচ্ছে। মানুষ আমাদের কাছে বিষয়টি নিয়ে বলছে। জনভোগান্তি নিরসনে আমরা কাজ করবো।

স্থানীয়দের দাবি, সড়ক খোড়ার পরই তা পুনরায় ঢালাই করে দেওয়া উচিত। তবে সেদিকে কোনো কর্ণপাত নেই পাইপলাইন বসানোর কাজে নিয়োজিত কর্মীদের।

পরিচয় প্রকাশ না করার শর্তে একজন কর্মী ঢাকা মেইলকে জানান, কুরবানি ঈদ পর্যন্ত তাদের এই কর্মযজ্ঞ চলবে। ততদিন ভোগান্তি পোহাতে হতে পারে মোহাম্মদপুরবাসীকে।

নগর ভবন জানিয়েছে, সড়ক খোড়াখুড়ির অনুমতি দিলেও জনভোগান্তি যেন না হয় সে বিষয়েও নির্দেশনা আছে সিটি করপোরেশনের।

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার মঈন উদ্দিন ঢাকা মেইলকে বলেন, আমরা ভোগান্তির বিষয়ে অবগত নই। কোনো ভোগান্তি হলে আমাদের অঞ্চল থেকে এ বিষয়টি অবশ্যই দেখা হবে। আপনার এই অভিযোগের বিষয়ে আমরা অবশ্যই দেখব।

কারই

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

টাইমলাইন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর