শুক্রবার, ১৭ মে, ২০২৪, ঢাকা

সিটি করপোরেশন এলাকায় থেকেও মাটির চুলাই ভরসা!

কাজী রফিক
প্রকাশিত: ০২ এপ্রিল ২০২৪, ১২:০৪ পিএম

শেয়ার করুন:

সিটি করপোরেশন এলাকায় থেকেও মাটির চুলাই ভরসা!

গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যের একটা বড় জায়গা দখল করে আছে মাটির চুলা। আধুনিকতার ছোয়ায় মাটির চুলার জায়গা দখল করে গ্যাসের চুলা বা এলপিজি (তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাস)। দেশের বিভিন্ন জেলায় এখনও মাটির চুলার দেখা মেলে। রাজধানী ঢাকারও কয়েক লাখ বাসিন্দা মাটির চুলা ব্যবহার করছেন। তবে ঐতিহ্যের টানে নয়, বরং বাধ্য হয়েই মাটির চুলা ব্যবহার করছেন তারা। অথচ তারা ঢাকা সিটি করপোরেশনের আওতাধীন এলাকার বাসিন্দা।

ঢাকা ১৯৯০ সালে সিটি করপোরেশনের মর্যাদা লাভ করে। ১৯৯৪ সালে মোহাম্মদ হানিফ ঢাকার প্রথম মেয়র নির্বাচিত হন। পরবর্তীতে নাগরিক সুবিধা নিশ্চিত করতে ২০১১ সালে মেগাসিটি ঢাকাকে দুটি আলাদা সিটি করপোরেশনে ভাগ করা হয়। তবে প্রশ্ন উঠেছে, নাগরিক সুবিধা কতটা নিশ্চিত হলো?


বিজ্ঞাপন


সিটি করপোরেশন প্রতিষ্ঠার অনেক আগেই কার্যক্রম শুরু করেছে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিসন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (টিজিটিডিসিএল)। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সিটি করপোরেশন এলাকায় সেবার মান ও ব্যাপ্তি বাড়াতে পারেনি প্রতিষ্ঠানটি।

২০২৩ সালের ৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত তিতাসের এক তথ্য বিবরণীতে বলা হয়েছে, বর্তমানে মোট ২৮ লাখ ৫৩ হাজার ৫৩ জন আবাসিক গ্রাহককে সেবা দিচ্ছেন তারা। একই সঙ্গে ১২ হাজার ৭৮ বাণিজ্যিক গ্রাহককেও সেবা দেওয়া হচ্ছে।

তবে সিটি করপোরেশন এলাকার মধ্যে আছেন, কিন্তু তিতাসের সেবা পাচ্ছেন না, এমন গ্রাহকের কোনো পরিসংখ্যান নেই প্রতিষ্ঠানটির কাছে।

আরও পড়ুন

ইফতার-সেহরিতে গ্যাস সংকট আদাবর-মোহাম্মদপুর-শংকরে
পানির সংকটে এলাকা ছাড়ার উদ্যোগ!
শুধু রমজানেই কেন পানির সংকট?
গ্যাস সংকটে ইফতার-সেহরিতে চরম ভোগান্তি

রাজধানীর মোহাম্মদপুরের পশ্চিমে ছয়টি এলাকা— সাত মসজিদ হাউজিং, চাঁদ উদ্যান, নবীনগর, চন্দ্রিমা হাউজিং, ঢাকা উদ্যান ও তুরাগ হাউজিং। এসব এলাকায় বৈধ কোনো গ্যাস সংযোগ নেই। এখানকার কয়েক লাখ বাসিন্দার রান্নার মাধ্যম এলপিজি বা গ্যাস সিলিন্ডার৷

সাত মসজিদ হাউজিং এলাকার বাসিন্দা পারভিন আক্তার ঢাকা মেইলকে বলেন, পুরো এলাকায় গ্যাস নাই। কয়েক বছর আগে ছিলো, অবৈধ লাইন। পরে কেটে দিছে৷ এখন আমরা রান্নার জন্য সিলিণ্ডার গ্যাস ব্যবহার করি।

কিন্তু এই এলাকার তুলনামূলক কম আয়ের মানুষরা রান্না করেন মাটির চুলায়। নবীনগর হাউজিং এলাকার বাসিন্দা মিরাজ হোসেন ঢাকা মেইলকে বলেন, আমরা লাকড়িতে রান্না করি। এক মণ কাঠ কিনি ৪০০ টাকায়। গ্যাসের লাইন থাকলে আমাগো জন্য অনেক সুবিধা হইতো।

মোহাম্মদপুরের মতো একই অবস্থা দেখা গেছে গাবতলীর হাড্ডিপট্টি, সুইপার কলোনী এলাকায়। ঢাকা সিটি করপোরেশন এলাকার বাসিন্দা হয়েও গ্যাস না পাওয়ার আক্ষেপ আছে বসিলা উত্তরমুড়া, দক্ষিণমুড়া, দয়াল হাউজিং, ওয়েস্ট ধানমন্ডি, বউ বাজার এলাকার বাসিন্দাদের।

তবে এসব এলাকার জন্য আপাতত কিছুই করার নেই বলে জানিয়েছে গ্যাস সরবরাহ প্রতিষ্ঠান তিতাস।

পরিচয় প্রকাশ না করার শর্তে প্রতিষ্ঠানটির একজন কর্মকর্তা ঢাকা মেইলকে বলেন, গ্যাস সংযোগের সিদ্ধান্ত সরকারের। আমরাও সেভাবেই কাজ করি। নতুন কোনো এলাকায় আপাতত গ্যাস সংযোগ দেওয়ার সুযোগ নেই। এ ধরনের কোনো সিদ্ধান্ত নেই। আবাসিকের পাশাপাশি বাণিজ্যিক পর্যায়েও একই সিদ্ধান্ত। শুধুমাত্র ইকোনমিক জোনের ক্ষেত্রে বিকল্প ভাবার সুযোগ আছে।

কারই

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

টাইমলাইন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর