ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) সংবাদ মাধ্যমের পাতায় পাতায় জুলাই গণঅভ্যুত্থান শীর্ষক তথ্যচিত্র প্রদর্শনী আয়োজন করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি মাঠে বাংলাদেশ তরুণ কলাম লেখক ফোরামের উদ্যোগে এবং সেন্টার ফর বেঙ্গল স্টাডিজের সহায়তায় এই আয়োজন করা হয়। দুই দিন চলবে এই কার্যক্রম।
বিজ্ঞাপন
সারাদেশে চলা ২০২৪ সালের ১ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত গণঅভ্যুত্থান সংক্রান্ত সংবাদ, ছবি ইত্যাদির কাটিং এ আয়োজনে প্রদর্শিত হয়েছে। ঢাকাসহ প্রতিটি জেলায় সংগঠিত জুলাই বিপ্লবের স্থিরচিত্রও স্থান পেয়েছে প্রদর্শনীতে।
প্রদর্শনীতে প্রথম আলো, মানবজমিন, নিউ নেশন, যুগান্তর, সংগ্রাম, নয়া দিগন্ত, ইত্তেফাক, সমকাল, ইনকিলাবসহ একাধিক মূলধারার সংবাদপত্রে প্রকাশিত জুলাই বিপ্লবের সময়ের উল্লেখযোগ্য সকল খবর স্থান পেয়েছে।
তরুণ কলাম লেখক ফোরামের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ইমরান উদ্দিন বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানকে ডকুমেন্টেশনের আওতায় আনার জন্য আমাদের এই উদ্যোগ। মানুষ যেন এগুলো থেকে তাদের জুলাইয়ের স্মৃতিকে চাঙ্গা করতে পারে সেই চেষ্টা করা হয়েছে। সংবাদের পাশাপাশি আমরা ছবিও প্রদর্শন করছি।
কেন্দ্রীয় সভাপতি আমজাদ হোসেন হৃদয় বলেন, ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে সংবাদমাধ্যম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। বিশেষ করে জাতীয় পত্রিকাগুলো পরিস্থিতি জানার অন্যতম মাধ্যম ছিল। সেসময়ের পত্রিকায় জুলাইয়ের অনেক স্মৃতি সংগৃহীত আছে। এছাড়া জুলাই গণঅভ্যুত্থানে কোন সংবাদমাধ্যম কী প্রচার করছে, কীভাবে প্রচার করছে, এর পুঙ্খানুপুঙ্খ বিশ্লেষণ উঠে আসবে এই প্রদর্শনীর মাধ্যমে। জুলাইয়ের স্মৃতিকে অম্লান রাখতেই বাংলাদেশ তরুণ কলাম লেখক ফোরাম এমন আয়োজন করেছে।
বিজ্ঞাপন
এ বিষয়ে ঢাবি’র প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক সাইফুদ্দিন আহমদ বলেন, অনেকে অভ্যুত্থান বলে আমি বলি বিপ্লব। এখানে শুধু ক্ষমতা নয় একটা ধারার পরিবর্তন হয়েছে। এটাকে আমি নতুন বাংলার রেঁনেসা বলি। আমাদের প্রজন্ম এটার সাথে যত খাপ খাওয়াতে পারবে ততই বিপ্লব সুসংহত হবে। আমাদের প্রজন্ম ও তরুণ প্রজন্মে একটা গ্যাপ আছে। আমরা তরুণদের ভাবনাকে বুঝতে পারছি না। এ ধরনের আয়োজন যত বেশি হবে তরুণদের বুঝতে আমাদের জন্য তত সহজ হবে। আর এই আয়োজন ডকুমেন্টশন এর কাজ করে। একটা ইতিহাসকে বাঁচিয়ে রাখে। এ ধরনের আয়োজন ব্যাতীত বিপ্লব বেহাত হয়ে যাবে।
আরএ/এফএ