সোমবার, ৭ এপ্রিল, ২০২৫, ঢাকা

মোরেলগঞ্জে ট্রলার ট্র্যাজেডির ৮ বছর: ১৪ নারী শিশুসহ প্রাণ হারায় ১৯ জন

জেলা প্রতিনিধি, বাগেরহাট
প্রকাশিত: ২৮ মার্চ ২০২৫, ১১:৩০ এএম

শেয়ার করুন:

loading/img

বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জের পানগুছি নদীতে যাত্রীবাহী ট্রলার ডুবিতে তিন উপজেলার ১৯ জনের প্রাণহানির আট বছর পূর্তি আজ। ২০১৭ সালের ২৮ মার্চ সকাল সাড়ে ১০টার দিকে মোরেলগঞ্জ ছোলমবাড়িয়া বাসস্ট্যান্ড খেয়াঘাট থেকে যাত্রীবহনকারী একটি ট্রলার পানগুছি নদীর অপর পাড় পুরান থানার খেয়াঘাটের প্রায় কাছাকাছি পৌঁছায়। এসময় নৌবাহিনীর একটি জাহাজ দ্রুতগতিতে মংলার দিকে চালিয়ে গেলে এর ঢেউয়ের তোড়ে ট্রলারটি উল্টে ডুবে এ দুর্ঘটনা ঘটে। যাত্রীবাহী খেয়া ট্রলারটি ডুবে ৫ শিশু, ৯ নারী ও ৫ জন পুরুষ লোকের সলিল সমাধি হয়। ট্রলারে ৮০ জন যাত্রী ছিল।

thumbnail_Bagerhat_Photo-5


বিজ্ঞাপন


ওই দিন সময় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে নিহতের সংখ্যাও বৃদ্ধি পাচ্ছিল। আর সেই সঙ্গে পানগুছি নদীর দু’পাড়ে স্বজন হারানো মানুষের আহাজারিতে ভারি হয়ে উঠেছিল সেখানকার পরিবেশ। স্বজন হারানো মানুষগুলো খুঁজে ফিরছে নিহত স্বজনের মৃত দেহটি। তাৎক্ষণিকভাবে স্থানীয় লোকজন ও মোরেলগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ১৫ জন নারী ও ৮ জন শিশুসহ ৫১ জনকে উদ্ধার করতে সক্ষম হন। নিখোঁজ থাকেন ১৯ জন। নিখোঁজদের সন্ধানে নৌবাহিনীর ৩টি, ফায়ার সার্ভিসের ৪টি, কোস্টগার্ডের ২টি ও পুলিশের দুটি দল অংশ নেয়। টানা ৪ দিন উদ্ধার অভিযান চালিয়ে ৪ শিশু, ৯ নারী ও ৫ জন পুরুষের লাশ উদ্ধার করা হয়। আজও নিখোঁজ রয়েছেন কাঁচিকাটা গ্রামের নাছির শেখের ছেলে নাজমুল হাসান (৬)।

thumbnail_Bagerhat_Photo-3

আরও পড়ুন

দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকে পিকআপের ধাক্কা, নিহত ২

বর্তমান মোরেলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. হাবিবুল্লা বলেন, নিহতদের পরিবারকে ওই সময় সরকারিভাবে ৪৫ হাজার টাকা করে আর্থিক সাহায্য প্রদান করা হয়েছে। এ ছাড়াও নিহতদের স্মরণে খেয়া ঘাটে নাম ফলকসহ একটি স্মৃতিস্তম্ভ তৈরি করা হয়েছে।


বিজ্ঞাপন


thumbnail_Bagerhat_Photo-2

ট্রলার ডুবির চারদিন পর ১ এপ্রিল দুপুরে মোরেলগঞ্জ ফেরিঘাটে তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. ওবায়দুর রহমান সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ অভিযানের সমাপ্তি ঘোষণা করেন। সংবাদ সম্মেলনে ইউএনও মো. ওবায়দুর রহমান জানান, ট্রলার ডুবির পর নিখোঁজদের উদ্ধারে নৌবাহিনী, কোস্টগার্ড ও ফায়ার সার্ভিস পাঁচ দিন ধরে অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন। এছাড়াও স্থানীয়রাও এ কাজে সর্বাত্মকভাবে সহযোগিতা করেছেন। ধারণ ক্ষমতার অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহণ এবং ঘাট মালিকদের অব্যবস্থাপনার কারণে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে দাবি করেন তিনি।

thumbnail_Bagerhat_Photo-1

এসময় ফায়ার সার্ভিসের বাগেরহাট কার্যালয়ের উপসহকারী পরিচালক সরদার মাসুদুর রহমান, কোস্টগার্ড কর্মকর্তা ফরিদুল ইসলাম, মোরেলগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাশেদুল আলমসহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

প্রতিনিধি/এসএস

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন


News Hub