পিরোজপুরের নাজিরপুরে সাবেক মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিমসহ একাধিক আওয়ামী লীগ নেতার বাসভবন ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতা।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ঘোষণা দিয়ে বৃহস্পতিবার (০৬ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা সাতটার দিকে এই ঘটনা ঘটায়। একই সময়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের অফিসেও আগুন দেওয়া হয়।
বিজ্ঞাপন
ফেসবুকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাষণের প্রতিবাদে সারাদেশের ন্যায় এদিন পিরোজপুরের নাজিরপুরে বিক্ষোভ করে ছাত্র-জনতা। এরই এক পর্যায়ে শ ম রেজাউল করিমসহ আ.লীগ নেতাদের বাসভবন ভাঙচুর ও আগুন লাগানো হয়।
এর আগে এদিন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কয়েকজন ফেসবুকে পোস্ট করেন সন্ধ্যা ৭টায় বুলডোজার কর্মসূচি পালন করা হবে। তার প্রেক্ষিতে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে হাজারের ওপরে বিক্ষুব্ধ জনতা হাসপাতালের সামনে অটোরিকশা স্ট্যান্ডে সমবেত হয়।
স্থানীয়রা জানান, বিক্ষোভকারীরা হাসপাতাল গেট থেকে মিছিল বের করেন। এর পর রাত ৭টার দিকে একদল ছাত্র-জনতা নাজিরপুর পাকমঞ্জিল মাদরাসা এলাকায় জড়ো হয়ে বিক্ষোভ মিছিল করে বাসস্ট্যান্ডের পাশে অবস্থিত সাবেক মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিমের বাসভবন ভাঙচুরের পরে আগুন দেয়। তার ভাই সাবেক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এস এম নুরে আলম সিদ্দিকী শাহিনের একটি বাড়িও ভাঙচুর করে ছাত্র জনতা।
পরে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোশারেফ হোসেন খান, যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক চঞ্চল কান্তি বিশ্বাসের বাড়িতে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। একই রাতে উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান রঞ্জুর বাড়িও ভাঙচুর করা হয়। এ সময় ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগকারীদের আওয়ামী লীগবিরোধী বিভিন্ন স্লোগান দিতে শোনা যায়।
বিজ্ঞাপন
এদিকে শাওন মোল্লা নামের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এক নেতা এসব ভাঙচুরের দায় নিতে অস্বীকার করেছেন। তিনি তার ফেসবুকে এ নিয়ে লিখেছেন, গত কালকে বুলডোজার কর্মসূচি ঘোষণা দেয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দলোন নাজিরপুর। বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীরা সন্ধ্যা ৭টায় নাজিরপুর বাস স্ট্যান্ড থেকে স্টেডিয়ামের সামনের পুরান আওয়ামী লীগ অফিসে অভিযান শুরু করে। সে সময় বিভিন্ন যায়গা থেকে ফোন আসা শুরু করে বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীদের কাছে, অনেকের দোকান, বাড়ি, ভাঙচুর লুটপাট শুরু করে দিয়েছে ঘাপটি মেরে বসে থাকা একদল কুচক্রী মহল। সেখানেই কালকের কর্মসূচি প্রত্যাহারের ঘোষণা করেন বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীরা। এদিকে দুষ্কৃতকারীর এক চক্র মহল সারা নাজিরপুরের বেশ কয়েকটি দোকান, বাড়ি ভাঙচুর লুটপাট ও আগুন দিয়েছেন। তাদের নাজিরপুরের মানুষ চিহ্নিত করে রেখেছেন। নাজিরপুর থেকে শেষ করে চৌঠাইমহল বাস স্ট্যান্ড হয়ে কালিবাড়ি গেছে। তবে যারা এগুলো করেছেন খুবই পরিকল্পিতভাবেই করেছেন। তবে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর এই দায়ভার চাপিয়ে দেওয়ার ষড়যন্ত্র কেউ করলে তার পরিণতি ভালো হবে না।
এ বিষয়ে নাজিরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মাহামুদ আল ফরিদ ভুইয়া বলেন, আওয়ামী লীগের বাড়িতে হামলা ও আগুনের বিষয়ে জানতে পেরেছি।
ইএ