বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এটিএম মাসুম বলেছেন, দেশের রাজনৈতিক দলগুলো ১৬ বছরে যা পারেনি ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে তা করে দেখিয়েছে। ফ্যাসিবাদী জালিম শাসক পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে।
তিনি বলেন, ফ্যাসিবাদ যেন কোনোভাবেই মাথাচাড়া দিয়ে না উঠতে না পারে সেজন্য সজাগ থাকতে হবে। আমরা দেশকে আর কোনো ফ্যাসিবাদী শক্তির হাতে তুলে দিতে চাই না।
বিজ্ঞাপন
রোববার (১৬ মার্চ) বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখার উদ্যোগে বিভিন্ন পেশাজীবী ও সুধীজনদের সম্মানে আয়োজিত ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মাওলানা এটিএম মাসুম ছাত্র-জনতার রক্তের বিনিময়ে ফ্যাসিস্ট সরকারের কবল থেকে মুক্ত পরিবেশে ইফতার মাহফিলে উপস্থিত হতে পেরে মহান আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করে বলেন, সিয়াম একটি অতিগুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। হাদিসে কুদসিতে বলা হয়েছে, ‘আল্লাহ বলেন, রোজা আমার জন্য, আর নিজ হাতে এর যথাযথ প্রতিদান দেব।’ অন্যত্র বলা হয়েছে, ‘আমি নিজেই রোজাদারের হয়ে যাব’। অপর হাদিসে এসেছে, ‘যে ব্যক্তি ঈমান ও ইহতেসাবের সাথে রোজা রাখতে আল্লাহ তার আগের সব গোনাহ মাফ করে দেবেন’। রমযান মাসের মর্যাদা সম্পর্কে কালামে হাকিমে বলা হয়েছে, রমযান মাস এমন এক মহিমান্বিত মাস যে মাসে মহাগ্রন্থ আল কুরআন নাযিল করা হয়েছে। যা মানবজাতির জন্য হেদায়াত ও সত্য মিথ্যার পার্থক্যকারী। আর কুরআন থেকে হেদায়াত পেতে হলে মুত্তাকি হতে হবে। তাই আমাদের মাঝে তাকওয়ার গুণ তৈরি করাই রোজার উদ্দেশ্যে। তাকওয়ার ভিত্তিতে সমাজ ও রাষ্ট্র পরিচালিত হলেই কেবল শান্তি প্রতিষ্ঠা সম্ভব।
তিনি আরও বলেন, আমরা তাকওয়ার নীতি অনুসরণ করে বাংলাদেশের রাষ্ট্রব্যবস্থা গড়ে তুলব। মানুষের মৌলিক অধিকার নিশ্চিতে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করব ইনশাআল্লাহ।
জামায়াতে ইসলামীর ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আমির মাওলানা মুহা. মুবারক হোসাইনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ইফতার মাহফিলে বিশেষ অতথি হিসেবে বক্তৃতা করেন জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিশে শুরার সদস্য ও কুমিল্লা অঞ্চলের টিম মেম্বার বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সাত্তার, কেন্দ্রীয় মজলিশে শুরার সদস্য ও কুমিল্লা অঞ্চলের টিম মেম্বার সাবেক জেলা আমির অধ্যক্ষ কাজী নজরুল ইসলাম খাদেম, জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাবেক পৌর মেয়র হাফিজুর রহমান মোল্লা কচি, জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জহিরুল হক খোকন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাবের সভাপতি জাবেদ রহিম বিজন, ইসলামী আন্দোলনের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সেক্রেটারি মাওলানা গাজী নিয়াজুল করিম, জাতীয় নাগরিক পার্টির মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) মো. আতাউল্লাহ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া টেলিভিশন জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আল আমিন শাহীন ও গণঅধিকার পরিষদের জেলা সভাপতি আশরাফুল ইসলাম তপু প্রমুখ।
বিজ্ঞাপন
ইএ