একশত দশ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত পদ্মা সেতু প্রকল্পের কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ড পদ্মা নদী রক্ষা বাঁধ ধসে গেছে। গত ৩ নভেম্বর থেকে এই বাধে এই ভাঙন শুরু হয়।
সোমবার (১৮ নভেম্বর) বিকেল পর্যন্ত জাজিরা উপজেলার পূর্ব নাওডোবা ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের মাঝিরঘাট এলাকায় প্রায় ১০০ মিটার ধসে যায়।
বিজ্ঞাপন
এছাড়াও পাইনপাড়া আহম্মদ মাঝি কান্দি এলাকার ‘মফিজুল উলূম জামে মসজিদটিও’ নদী ভাঙনে স্বীকার হয়েছে। স্থানীয়দের দাবি ড্রেজার দিয়ে নদীতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের ফলে এমন ভাঙন দেখা দিয়েছে। এর ফলে গ্রামবাসী বড় ধরনের ভাঙনের আশঙ্কা করছে।
তবে ভাঙন রোধে দ্রুত কার্যকরী পদক্ষেপ নেয়ার আশ্বাস পানি উন্নয়ন বোর্ডের।
শরীয়তপুরের জাজিরায় পদ্মা সেতু থেকে প্রায় ১৭০০ মিটার দূরেই বাঁধ ধসে গেছে। প্রায় ১০০ মিটার এলাকায় কংক্রিটের সিসি ব্লক পানিতে তলিয়ে গেছে। এসব এলাকার আশপাশে ফাটল দেখা দিয়েছে। ভাঙন রোধে এখনও কোনো ব্যবস্থা নেয়নি পানি উন্নয়ন বোর্ড।
বিজ্ঞাপন
পাশাপাশি নদীর ওপারে পাইনপাড়া আহম্মদ মাঝি কান্দি এলাকায় ‘মফিজুল উলূম জামে মসজিদটিও’ নদী ভাঙনে স্বীকার হয়েছে। মসজিদটি নদীর ভেতর পড়ে আছে। সেখানেও ভাঙন রোধে ব্যবস্থা নেয়নি পানি উন্নয়ন বোর্ড।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) জেলা কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, পদ্মা সেতু প্রকল্পের কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ড পদ্মা নদী রক্ষা বাঁধ নির্মাণের পরিকল্পনা করা হয়। ২০১০-২০১১ সালে পদ্মা সেতু থেকে মাঝিরঘাট হয়ে পূর্ব নাওডোবা আলমখার কান্দি জিরো পয়েন্ট পর্যন্ত ২ কিলোমিটার বাঁধ নির্মাণ করা হয়। এটি নির্মাণে ১১০ কোটি টাকা ব্যয় হয়। ২০১১ সালই বাঁধ নির্মাণের কাজ শেষ হয়। এতে নদীভাঙন ও বন্যার হাত থেকে অনেকটাই মুক্তি পেয়েছিল গ্রামবাসী। দ্রুত সময়ের মধ্যে ধসে যাওয়া বাঁধ সংস্থার করা না হলে হুমকি মুখে পড়বে নদী পাড়ের পাঁচ শতাধিক বাড়িঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান।
স্থানীয় আশ্রাফ বলেন, দ্রুত সময়ে যদি এই বাধ ঠিক করা না হয়। তাহলে গত কয়েক বছর আগে যেইভাবে পদ্মায় বাড়ি ঘর বিলিন হয়ে গিয়েছিল ঠিক তেমন এই হবে।
দ্রুত সংস্কার চেয়ে আকাশ বলেন, কয়েদিন ধরে বাঁধে ধস হওয়ার কারণে আতঙ্কিত নদী পাড়ের মানুষ। আমরা এটা দ্রুত সংস্কার চাই।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে শরীয়তপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপসহকারী প্রকৌশলী সুমন বনিক বলেন , ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ভাঙন কবলিত স্থান পরিদর্শন করেছেন। তাদের নির্দেশনা মোতাবেক ভাঙন রক্ষার জন্য দ্রুত জিওব্যাগ ডাম্পিংয়ের ব্যবস্থা করা হবে।
প্রতিনিধি/এসএস