বুধবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২৫, ঢাকা

পাবনায় স্থগিত অটো-টেম্পু নির্বাচন বাতিলের দাবি

জেলা প্রতিনিধি, পাবনা 
প্রকাশিত: ১৩ এপ্রিল ২০২৫, ০৫:২৭ পিএম

শেয়ার করুন:

loading/img

জালিয়াতির মাধ্যমে ভোটার তালিকা তৈরি, ব্যাপক কারচুপি, ব্যালট ছিনতাই এবং আগুন দেওয়ার অভিযোগে স্থগিত হওয়া পাবনা জেলা অটো-টেম্পু, অটোরিকশা ও মিশুক মালিক সমিতির নির্বাচন সম্পূর্ণ বাতিল করে নতুন নির্বাচনের দাবি জানিয়েছেন বিভিন্ন প্রার্থী ও সমিতির সদস্যরা। তারা দ্রুত নতুন নির্বাচন আয়োজন না করা হলে বড় ধরনের আন্দোলনের হুঁশিয়ারিও দেন।

রোববার (১৩ এপ্রিল) দুপুরে পাবনা শহরের আব্দুল হামিদ রোডে অবস্থিত পাবনা প্রেসক্লাবের সামনে এক মানববন্ধনে বক্তারা এসব অভিযোগ তোলেন।


বিজ্ঞাপন


মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনের প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় নির্বাচনে ব্যাপক কারচুপি হয়। ভোট গণনার সময় প্রার্থীদের এজেন্টদের কোনো ব্যালট দেখানো হয়নি। এজেন্টদের আপত্তি উপেক্ষা করে গণনা চলতে থাকে এবং তাদের হুমকি-ধামকিও দেওয়া হয়। একপর্যায়ে সাধারণ ভোটাররা ক্ষুব্ধ হয়ে ভোটকেন্দ্রে ঢুকে ব্যালটে আগুন ধরিয়ে দেন। এরপর নির্বাচন কমিশন বাধ্য হয়ে ফলাফল স্থগিত ঘোষণা করেন। এখন পর্যন্ত তারা নানা টালবাহানা করছে।’

তারা আরও বলেন, ‘সমিতির প্রায় ২ হাজার ৫০০ জন সদস্য থাকলেও কেবল ১ হাজার ২০২ জনকে বৈধ ভোটার তালিকায় রাখা হয় এবং বাকি সবাইকে অবৈধভাবে বাদ দেওয়া হয়। ২ মার্চ একদিনে তালিকা প্রস্তুত করা হয় এবং মাত্র তিন ঘণ্টার মধ্যে আপত্তি শুনানির সময় নির্ধারণ করে একটি চায়ের দোকানে কাগজ টানিয়ে নোটিশ দেওয়া হয়। অধিকাংশ সদস্যই সে সম্পর্কে কিছুই জানতে পারেননি এবং তাদের নাম তালিকায় ওঠেনি। এভাবে জালিয়াতিপূর্ণ ও ত্রুটিপূর্ণ তালিকা তৈরি করেই নির্বাচন আয়োজন করা হয়েছিল।’

মানববন্ধনে বক্তব্য দেন সভাপতি প্রার্থী আবু জাফর মো. আল মাসুদ মিন্টু, সাধারণ সম্পাদক পদের প্রার্থী হাবিবুর রহমান লিটু ও বরাত প্রামাণিক, অর্থ সম্পাদক পদের প্রার্থী লিটন হোসেন এবং সাংগঠনিক সম্পাদক পদপ্রার্থী তোফায়েল হোসেন সোলে প্রমুখ।

এ বিষয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার অ্যাডভোকেট নাজমুল হোসেন শাহিন বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনের কোনো প্রার্থী নেই, তাহলে তারা কেন কারচুপি করবে? আমি বিএনপির রাজনীতি করি, তারপরও বলছি—যারা ঝামেলা করেছে, তারা বিএনপিরই লোক। ওরাই হেরে যাওয়ার সময় এসব করেছে। সেখানে পুলিশও উপস্থিত ছিল, কিন্তু তারা নীরব ভূমিকা পালন করেছে। এখন নির্বাচন কমিশন বসে বিষয়টি নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবে।’


বিজ্ঞাপন


গত শুক্রবার (১১ এপ্রিল) পাবনা সেন্ট্রাল গার্লস হাই স্কুলে দিনব্যাপী পাবনা জেলা অটো-টেম্পু, অটোরিকশা ও মিশুক মালিক সমিতির ত্রিবার্ষিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। রাত ১০টা ৩০ মিনিটের দিকে ভোট গণনার শেষ পর্যায়ে একদল দুর্বৃত্ত ভোটকেন্দ্রে ঢুকে ব্যালট পেপার ও ভোটার তালিকা ছিনিয়ে নিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয় এবং কেন্দ্রের সামনে বিক্ষোভ শুরু করে। এরপর প্রধান নির্বাচন কমিশনার নির্বাচন স্থগিত ঘোষণা করেন।

প্রতিনিধি/একেবি

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর

News Hub