টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে যমুনা নদীর বন্যার পানির প্রবল স্রোতে ভেঙে যাওয়া মসজিদের রাস্তাটি তিন মাসেও মেরামত করা হয়নি। এতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাঁশের সাঁকো দিয়ে যাতায়াত করাসহ চরম জনদুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন স্থানীয়রা। নড়বড়ে এই বাঁশের সাঁকো দিয়ে পারাপার হতে গিয়ে ইতোমধ্যে অনেকে আহত হয়েছেন।
জানা গেছে, উপজেলার গোবিন্দাসী ইউনিয়নের কয়েড়া উত্তরপাড়া মসজিদে যাওয়ার একমাত্র রাস্তা এটি। গত কয়েক মাস আগে যমুনার নদীর পানির প্রবল স্রোতে ১৫ থেকে ২০ মিটার রাস্তা ভেঙে গেছে। ভেঙে যাওয়ার কয়েকদিন পর স্থানীয়রা নিজদের অর্থায়নে বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করে। যা এখনও মেরামত করা হয়নি।
বিজ্ঞাপন
স্থানীয় বাসিন্দা আমিনুল ইসলাম বলেন, বন্যায় রাস্তাটি ভেঙে যাওয়ার পর আমরা নিজেদের অর্থে বাঁশের সাঁকো তৈরি করি। সেটি এখন নড়বড়ে হয়ে গেছে। শতশত মুসল্লিসহ স্থানীয় লোকজন ঝুঁকি নিয়ে প্রতিনিয়ত যাতায়াত করে আসছেন। রাস্তাটি মেরামতের জন্য জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বললেও কোনো কাজ হয়নি।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সরকার পতনের পর আওয়ামী লীগপন্থী ইউপি চেয়ারম্যান দুলাল হোসেন চকদারসহ অন্যান্য ইউপি সদস্যরা পরিষদে যেতে পারছে না। এতে করে নাগরিকদের নানা কাজে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। যার কারণে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তাগুলো মেরামত কাজে বিঘ্ন ঘটছে। ফলে ভাঙা রাস্তা মেরামতে কেউ দেখভাল করছে না।
বিজ্ঞাপন
এ বিষয়ে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. সাখাওয়াত হোসেন বলেন, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ বিভিন্ন এলাকার রাস্তাগুলোর তালিকা করা হয়েছে। বরাদ্দ পেলে কাজ ধরব।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মোছা. পপি খাতুন বলেন, বরাদ্দ আসলে ভেঙে যাওয়া রাস্তাগুলো দ্রুত মেরামতের উদ্যোগ নেওয়া হবে।
প্রতিনিধি/এসএস