হঠাৎ করে কয়েকদিন ধরেই অসংলগ্ন আচরণ করছিলেন রুপা আক্তার (২৬)। সারাদিন কয়েকবার গোসল করতে চেয়েছেন। সন্ধ্যায় গোসলখানায় পানি না পেয়ে দৌড়ে গিয়ে বাড়ির পাশে কীর্তিনাশা নদীতে ঝাপ দেন। নদীর প্রচণ্ড স্রোতে ডুবে নির্মমভাবে মৃত্যু হয় তার।
সোমবার (১ এপ্রিল) রাত ১০টার দিকে শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার বৈশাখীপাড়ায় কীর্তিনাশা নদী থেকে রুপার লাশ উদ্ধার করে নড়িয়া ফায়ার সার্ভিসের ইউনিট দল। এর আগে সন্ধ্যা ৭টার দিকে নদীতে ঝাপ দেয় রুপা।
বিজ্ঞাপন
নিহত রুপা আক্তার বৈশাখীপাড়া গ্রামের মোসলেম সরদার এর মেয়ে।
রুপার মা রানু বেগম জানান, কয়েকদিন ধরেই আমার মেয়ে পাগলের মতো করছিল। আশপাশের মানুষরা বলছে ওরে নাকি জীনের আছর করেছে। তাই আজ সকালে ফকিরের কাছে নিয়ে গিয়েছিলাম। সেখান থেকে আসার পর কয়েকবার গোসল করছে। আর কিছুক্ষণ পর পর পানি খুঁজেছে। ইফতারের পর আমি মাগরিবের নামাজ পড়ছিলাম। সে সময় সে আবারও পানি খুঁজতে খুঁজতে গোসলখানায় যায়। সেখানে পানি না পেয়ে দৌড়ে গিয়ে নদীতে ঝাপ দেয়। আমি পেছন পেছন দৌড়ে এসে ওরে আর পাইনি। আমার বুকের মানিক চইলা গেল।
নড়িয়া ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন কর্মকর্তা মো. হাবিবুর রহমান জানান, আমাদের কন্টোল রুম থেকে খবর পেয়ে আমরা মেয়েটিকে উদ্ধারের জন্য ছুটে আসি। আমাদের উদ্ধার কার্যক্রম শুরু হওয়ার কিছুক্ষণ এর মধ্যেই আমরা পানির নিচ থেকে মেয়েটির লাশ উদ্ধার করতে সক্ষম হই।
বিজ্ঞাপন
নড়িয়া থানার ওসি মোস্তাফিজুর রহমান জানান, পরিবারের লোকজন না চাওয়ায় লাশ ময়না তদন্ত করা হয়নি। এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।
প্রতিনিধি/এসএস