লক্ষ্মীপুরে সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালক নুরুল আলমের পৈত্রিক সম্পত্তির ওপর প্রতিবেশী খোরশেদ আলম জোরপূর্বক পাকাবাড়ি নির্মাণ করছে। থানায় লিখিত অভিযোগ করেও সুবিচার পাচ্ছে না ভুক্তভোগী নুরুল আলম।
রোববার (১৩ এপ্রিল) বিকেলে সরেজমিন দেখা যায়, সদর উপজেলার দত্তপাড়া ইউনিয়নের (৭ নম্বর ওয়ার্ড) পূর্ব বটতলী (জুনার বাড়িতে) জোরপূর্বক জমি দখল করে পাকাবাড়ি নির্মাণ কাজ চলছে।
বিজ্ঞাপন
সরেজমিন গিয়ে জানা গেছে, দীর্ঘ বছর ধরে পূর্ব বটতলী গ্রামের মৃত ধনু মিয়ার ছেলে নুরুল আলমের সঙ্গে একই গ্রামের মৃত কালু মিয়ার ছেলে খোরশেদ আলমের জমি সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছে। একাধিকবার বৈঠক হয়েছে। অসংখ্যবার থানায় অভিযোগ ও আদালত পর্যন্ত মামলা হয়। এরপরও দু’পক্ষের জমি সংক্রান্ত বিরোধ অপসারণ হয়নি। রন্ধ্রে রন্ধ্রে হয়রানি হচ্ছেন সিএনজি চালক নুরুল আলম। কারণ খোরশেদ আলমের ৪ ছেলে প্রবাসে থাকে। তাদের পাঠানো টাকা দিয়ে খোরশেদ আলম জোরপূর্বক বাড়িতে থেকে নুরুল আলমদের জমিতে বারবার পাকাবাড়ি নির্মাণ করছেন।
ভুক্তভোগী সিএনজিচালক নুরুল আলম জানান, তাদের বাড়ির চাচা সম্পর্কে হয় অভিযুক্ত খোরশেদ আলম। তার বাবা ধনু মিয়া জীবিত থাকাকালীন সময় খোরশেদ আলমের কাছে ৩৩ শতাংশ জমি বিক্রি করেন। কিন্তু খোরশেদ আলম ভুয়া দলিল ও রেকর্ড দেখিয়ে ধনু মিয়ার বেশিরভাগ জমি জবরদখল করে ভোগদখল করে যাচ্ছে। সামাজিক বৈঠক ও থানায় বৈঠক হলেও খোরশেদ আলম জমির দলিল দেখাতে পারেননি। আমরা তার অত্যাচারে অতিষ্ঠ। ২০২১ ও ২০২৩ সালে জোরপূর্বক দু’টি পাকাবাড়ি নির্মাণ করে। এখন আবার জোরপূর্বক খোরশেদ আলম আমাদের জমিতে আরেকটি পাকাবাড়ি নির্মাণ করে। দু’দিন আগে স্থানীয় চন্দ্রগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ করার পর এখন পর্যন্ত পুলিশের দৃশ্যমান ভূমিকা দেখিনি।
বিজ্ঞাপন
অভিযুক্ত খোরশেদ আলম জানান, যতবার ঘর নির্মাণ করতে গেলাম, ততবারই থানায় অভিযোগ, কোর্টে মামলা করে হয়রানি করছে নুরুল আলম। তার বাবার কাছ থেকে আমি জমি কিনছি। আমার কাছে দলিলপত্র রয়েছে। অযথা সেই আমাকে হয়রানি করছে।
আরও পড়ুন
অভিযোগের তদন্ত কর্মকর্তা চন্দ্রগঞ্জ থানার পুলিশের সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) আবদুল আল মামুন মুঠোফোনে বলেন, নুর আলমের লিখিত অভিযোগে প্রেক্ষিতে সরেজমিনে গিয়ে পরিদর্শন করছি। উভয় পক্ষের মধ্যে দীর্ঘদিনের বিরোধ জমি সংক্রান্ত বিরোধ। আদালতে মামলা চলমান রয়েছে। জমির মালিকানা সংক্রান্ত বিষয় আদালতের যাওয়ার আইনি পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
প্রতিনিধি/এসএস