খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মো. রেজাউল করিম বলেছেন, চৈত্র সংক্রান্তি বাঙালির একটি চিরায়ত উৎসব, যা প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য হিসেবে প্রবাহিত হয়ে আসছে। ঘুড়ি উৎসব সেই ঐতিহ্যেরই রঙিন প্রতিফলন। এ ধরনের আয়োজন শুধু বিনোদনের নয়, আমাদের ইতিহাস-ঐতিহ্য ও শিকড়ের সঙ্গে যুক্ত থাকার একটি গুরুত্বপূর্ণ উপায়। বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার পাশাপাশি সংস্কৃতি চর্চার ক্ষেত্র হিসেবেও এমন আয়োজনগুলো কার্যকর ভূমিকা রাখে।
রোববার (১৩ এপ্রিল) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মাঠে চৈত্র সংক্রান্তি উপলক্ষে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ঘুড়ি উড়িয়ে উৎসবের উদ্বোধনকালে তিনি এসব কথা বলেন।
বিজ্ঞাপন
চৈত্র সংক্রান্তি উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানমালায় ছিল- ঐতিহ্যবাহী বাঙালি খেলা, ঘুড়ি উৎসব, আল্পনা উৎসব, পুতুল নাচ এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
ঘুড়ি উৎসবে নানা রঙ ও আকৃতির ঘুড়ি- প্রজাপতি, সাপ, চিল, ঈগল ও মাছ আকৃতির ঘুড়িগুলো ছিল বিশেষ আকর্ষণ। উৎসবমুখর পরিবেশে ঘুড়ির সঙ্গে তাল মিলিয়ে বাজানো হয় ঢাক-ঢোল ও লোকজ সংগীত, যা শিক্ষার্থীদের আনন্দে ভরিয়ে তোলে।
আরও পড়ুন
এই আয়োজনের মধ্য দিয়ে শিক্ষার্থীরা একদিকে যেমন চৈত্র সংক্রান্তির ঐতিহ্যকে রঙে-রূপে ধারণ করে, অন্যদিকে নতুন বাংলা বছরকে স্বাগত জানায় প্রাণখোলা আনন্দে।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. হারুনর রশীদ খান, ছাত্র বিষয়ক পরিচালক প্রফেসর ড. মো. নাজমুস সাদাত, সহকারী ছাত্র বিষয়ক পরিচালক ড. তারেক বিন সালাম, নীপা অধিকারীসহ বিভিন্ন ডিসিপ্লিনের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
প্রতিনিধি/এসএস