সোমবার, ৭ এপ্রিল, ২০২৫, ঢাকা

দেশে সফটওয়্যার প্রকৌশলীদের দক্ষতা বৃদ্ধিতে বি-টপসি প্রোগ্রাম শুরু

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ০৭:১০ এএম

শেয়ার করুন:

loading/img

দেশে সফটওয়্যার প্রকৌশলীদের দক্ষতা বৃদ্ধিতে বি-টপসি প্রোগ্রাম শুরু হয়েছে। 

বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) রাজধানীর আগারগাঁও-এ অবস্থিত আইসিটি টাওয়ারের বিসিসি মিলনায়তনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে একযোগে কাজ শুরু করেছে আইসিটি (তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি) বিভাগ ও জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা)। 


বিজ্ঞাপন


এ আয়োজনের মাধ্যমে বাংলাদেশ আগামী প্রজন্মের উপযোগী সুদক্ষ সফটওয়্যার প্রকৌশলী তৈরিতে আরও একধাপ এগিয়ে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।  জাপানের মর্যাদাপূর্ণ ‘টপসি’ প্রশিক্ষণ কোর্সের আদলে বাংলাদেশে বি-টপসি (বাংলাদেশ টপ সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার) প্রোগ্রাম আয়োজনের লক্ষ্যও একই - ‘বি এ টপ সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার।’ 

আইসিটি খাতে দক্ষতা অর্জনের জন্য প্রয়োজনীয় সর্বাধুনিক সফটওয়্যার প্রকৌশলের ওপর প্রশিক্ষণ দেওয়ার মাধ্যমে তাদের ‘সুপার আর্কিটেক্ট’ হিসেবে গড়ে তোলাই এই কোর্সের উদ্দেশ্য। এই উদ্যোগের মাধ্যমে মিড-ক্যারিয়ারে থাকা ১ হাজারেরও বেশি আইসিটি পেশাজীবী প্রশিক্ষণ গ্রহণের সুযোগ পাবেন। এক্ষেত্রে তাদের প্রশিক্ষণ দেবেন খাতসংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরাই। 

আরও পড়ুন

ফ্যান নাকি লাইট— বিদ্যুৎ বিল বেশি আসে কীসে?

বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল (বিসিসি), বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেম (বেসিস) ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অংশীদারিত্বে প্রোগ্রামটি বাস্তবায়ন করবে জাইকা’র ‘প্রজেক্ট ফর আইসিটি ইঞ্জিনিয়ার্স ডেভেলপমেন্ট ফর দ্য প্রোমোশন অব দ্য আইসিটি ইন্ডাস্ট্রি অ্যান্ড নিউ ইনোভেশনস।’ 


বিজ্ঞাপন


অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি; তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী, এনডিসি; জাইকা বাংলাদেশ অফিসের চিফ রিপ্রেজেন্টেটিভ ইচিগুচি তোমোহিদেসহ অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ। 

আয়োজনে জাপানের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ইনফরমেটিক্সে (এনআইআই) টপসি প্রোগ্রামের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান প্রফেসর ড. হোনিদেন শিনিচি’র ভিডিও বার্তা প্রদর্শন করা হয়। এ সময় তিনি বাংলাদেশে এ ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করায় সংশ্লিষ্টদের প্রচেষ্টার প্রশংসা করেন। 

অসাধারণ এই উদ্যোগের বিষয়ে জাইকা বাংলাদেশের চিফ রিপ্রেজেন্টেটিভ ইচিগুচি তোমোহিদে বলেন, জাপান ও বাংলাদেশের দীর্ঘকালীন বন্ধুত্ব অত্যন্ত গভীর; আর এ উদ্যোগ তারই বহিঃপ্রকাশ। বাংলাদেশের আইসিটি খাতের ভবিষ্যৎ বিনির্মাণে গুরুত্বপূর্ণ ভিত্তি হিসেবে কাজ করবে এই বি-টপসি প্রোগ্রাম। দেশের আইসিটি পেশাজীবীদের সক্ষম করে তোলার মধ্য দিয়ে আমরা নতুন উদ্ভাবন ও শক্তিশালী বৈশ্বিক প্রতিযোগিতার নিত্যনতুন ক্ষেত্র তৈরি করব।

আইসিটির বৈশ্বিক পরিসরে বাংলাদেশের সুদৃঢ় অবস্থান গড়ে তোলার ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হয়ে থাকবে এই বি-টপসি প্রোগ্রাম।

এমআইকে/এমএইচএম

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন


News Hub