সোমবার, ৭ এপ্রিল, ২০২৫, ঢাকা

ফোনের ব্যাটারির 'mAh' মানে কী?

তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৫ এপ্রিল ২০২৫, ০৪:২৪ পিএম

শেয়ার করুন:

loading/img

স্মার্টফোন চলে ব্যাটারিতে। এই ব্যাটারিই যেনো ফোনের প্রাণ। ব্যাটারি ডাউন হলে ফোন আর চলে না। খেয়াল করলে দেখবেন ফোনের প্রতিটি ব্যাটারিতে একটা ক্যাপাসিটি লেখা থাকে। যাকে বলা হয় 'mAh' যাকে বলে মিলিঅ্যাম্পিয়ার-আওয়ার। এ থেকে বোঝা যায়, ব্যাটারি কতক্ষণ ধরে নির্দিষ্ট পরিমাণ বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে সক্ষম। সোজা কথায়, এটা ব্যাটারির মধ্যে সঞ্চিত শক্তির পরিমাণ বোঝায়।

mAh গণনার নির্দিষ্ট সূত্র রয়েছে। সেটা হল – mAh = (ব্যাটারির ক্ষমতা (Ah)) × 1000। এখানে ব্যাটারির ক্ষমতা অ্যাম্পিয়ার-আওয়ারে পরিমাপ করা হয়। অর্থাৎ ব্যাটারিটি ১ ঘণ্টা ধরে কত অ্যাম্পিয়ার বিদ্যুৎ দিতে পারে তা প্রকাশ করে। আর 1000 হল Ah কে mAh-এ রূপান্তর করার জন্য।


বিজ্ঞাপন


আরও পড়ুন: ফোন গরম হলে হতে পারে বিস্ফোরণ, করণীয় জানুন

ধরে নেওয়া যাক, কারও ফোনে ৩০০০ mAh ব্যাটারি আছে। এর মানে হল ব্যাটারিটি ১ ঘণ্টা ধরে ৩ অ্যাম্পিয়ার কারেন্ট দিতে পারে। অথবা ২ ঘণ্টা ধরে ১.৫ অ্যাম্পিয়ার কারেন্ট দিতে পারে। mAh রেটিং যত বেশি হবে, ব্যাটারি তত বেশি সময় ধরে চলবে। তবে মাথায় রাখতে হবে, ব্যাটারির স্থায়িত্ব আরও কিছু বিষয়ের উপর নির্ভর করে।

ফোন ব্যবহার: যদি কেউ দীর্ঘক্ষণ গেম খেলেন, ভিডিও স্ট্রিম করেন বা হেভি অ্যাপ ব্যবহার করেন—তবে ফোন বেশি বিদ্যুৎ খরচ করবে এবং ব্যাটারি তাড়াতাড়ি শেষ হয়ে যাবে।

স্ক্রিনের ব্রাইটনেস: স্ক্রিনের ব্রাইটনেস যত বেশি হবে, ব্যাটারির ওপর চাপও তত বেশি পড়বে। ব্যাটারিও দ্রুত খরচ হবে।


বিজ্ঞাপন


নেটওয়ার্ক সংযোগ: দুর্বল সিগন্যালযুক্ত এলাকায় ফোনকে বারবার সিগন্যাল খুঁজতে হয়। এতে প্রসেসর ও অ্যান্টেনা অতিরিক্ত শক্তি খরচ করে—ফলে ব্যাটারি দ্রুত ফুরিয়ে যায়।

ব্যাকগ্রাউন্ড অ্যাপস: সরাসরি ব্যবহার না করলেও অনেক অ্যাপ ব্যাকগ্রাউন্ডে চলতে থাকে এবং ক্রমাগত ব্যাটারি ব্যবহার করে।

battery

স্মার্টফোনের ব্যাটারির আয়ু বাড়ানোর কিছু টিপস-

স্ক্রিনের ব্রাইটনেস কমিয়ে রাখতে হবে।

অপ্রয়োজনীয় ব্যাকগ্রাউন্ড অ্যাপস বন্ধ রাখাই ভালো।

কম সিগন্যাল অঞ্চলে Wi-Fi বা মোবাইল ডেটা বন্ধ রাখতে হবে।

Battery Saver মোড চালু রাখতে হবে। এটা ব্যাটারি বাঁচানোর কাজ করে।

ফোনের সফটওয়্যার নিয়মিত আপডেট করা জরুরি।

ব্যাটারি পুরনো হয়ে গেলে নতুন ব্যাটারি লাগাতে হবে।

mAh মান যত বেশি, ব্যাটারির ক্ষমতাও তত বেশি—তবে ব্যাটারির স্থায়িত্ব শুধুমাত্র এই সংখ্যার উপর নির্ভর করে না। ফোন ব্যবহারের ধরন, সেটিংস এবং অন্যান্য টেকনিক্যাল দিকগুলোও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। সঠিক ব্যবহার ও কিছু সহজ পদক্ষেপ অনুসরণ করলেই ব্যাটারির আয়ু সহজেই বাড়ানো যায়।

এজেড

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

News Hub