বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ঢাকা

মসজিদুল হারামে ইফতার রেওয়াজ

বিশেষ প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ২৬ মার্চ ২০২৩, ০৭:১৫ পিএম

শেয়ার করুন:

মসজিদুল হারামে ইফতার রেওয়াজ

রমজান মাস এলেই যেন বদলে যায় ইসলামের পবিত্র দুই নগরী মক্কা-মদিনার দৃশ্যপট। পথেঘাটে বাজারে রোজাদারদের কদর। হোটেল-রেস্তোরাঁ দিনের বেলা বন্ধ। ইফতার ও তারাবির সময়ে লাখো মানুষের ঢল নামে মক্কা ও মদিনার পবিত্র দুই মসজিদে। ইফতারের সে দৃশ্য অভূতপূর্ব। 

মদিনায় মসজিদে নববীর চত্বর ও এর অভ্যন্তরে কাতারবন্দি হয়ে বসে যান লাখ লাখ মুসল্লি। কাতারের মাঝখানের ফাঁকা জায়গা দিয়ে ইফতারসামগ্রী নিয়ে হেঁটে বণ্টন করেন স্থানীয় মানুষজন। রোজাদারদের সামনে লম্বা পলিথিনের দস্তরখানা বিছিয়ে দেওয়া হয়। তাতে বিভিন্ন আইটেমের ইফতার পরিবেশন করা হয়। সৌদি আরবের স্থানীয় নাগরিকগণ যে যার মতো ইফতার আনেন। কেউ রুটি, কেউ টক দই, কেউবা খেজুর বণ্টন করেন।


বিজ্ঞাপন


mosjid

পানির বোতল, প্যাকেটজাত ইফতার দিয়ে থাকেন অনেকেই। বাড়ি থেকে রান্না করা খাবার এনে বিতরণ করেন অনেক ধর্মপ্রাণ মানুষ। হাসিমুখে তাঁর খাবার গ্রহণ করতে অনুরোধ করতে থাকেন। রমজানের শুরু থেকে পবিত্র দুই মসজিদের খাদেম সৌদি বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজের পক্ষ থেকে প্যাকেট করা ইফতারসামগ্রী বিতরণ করছে। তাতে থাকে খেজুর, জমজমের পানি, জুস, দই, স্ন্যাকস আইটেম, রুটি প্রভৃতি। অনেকে বাড়ি থেকে কেটলি ভর্তি চা, বিভিন্ন জুস কিংবা পানীয় গাড়িতে এনে নিজ হাতে বিতরণ করেন। সহাস্যে এসব খাবার বিতরণে তাদের মাঝে দেখা যায় না কোনো ক্লান্তি।

mosjid
 
পবিত্র রমজানে মক্কা ও মদিনায় দুনিয়ার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে লাখ লাখ মানুষ সমবেত হয়েছেন। তাদের প্রায় অধিকাংশই পবিত্র দুই মসজিদে ইফতার করেন। ইফতার শেষে মসজিদে ইবাদত বন্দেগীর পর তারাবি আদায় শেষে ফেরেন বাসা কিংবা হোটেলে। অনেকেই দিনভর কাবা বায়তুল্লাহ তাওয়াফ এবং মসজিদুল হারামে নামাজ আদায় করেন। ভিন্নতর এক ভ্রাতৃত্ববোধে উদ্বুদ্ধ হয়ে এক কাতারেই যেন আজ তারা শামিল। ধনী গরীব আশরাফ আতরাফের বিভাজন রেখা যেন  মুছে গেছে দুই পবিত্র নগরীতেই।

এমএইচএম

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর