দেশের আকাশে ১৪৪৬ হিজরি সনের পবিত্র রজব মাসের চাঁদ দেখা গেছে। ফলে বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) থেকে পবিত্র রজব মাস গণনা করা হবে। পবিত্র রমজানের আগমনী বার্তা নিয়ে হাজির হয় রজব। ইসলামে এই মাসের গুরুত্ব ও তাৎপর্য অনেক। বছরের যে চারটি মাসকে আল্লাহ তাআলা শ্রেষ্ঠত্ব ও মাহাত্ম্য দিয়েছেন, সেই ‘আশহুরুল হুরুম’ বা সম্মানিত মাসের মধ্যে অন্যতম রজব মাস। ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ ইতিহাস-ঐতিহ্যের সঙ্গে রজব মাসের যোগসূত্র ও সম্পৃক্ততা রয়েছে।
তিনি রজব মাস থেকেই রমজানের প্রস্তুতি শুরু করতেন এবং পুরো রজব মাসজুড়ে বরকতের দোয়া পড়তেন। রমজানের ইবাদতের প্রস্তুতি হিসেবে এবং নবীজির উম্মত হিসেবে আমাদেরও রজব মাসে দোয়াটি বেশি বেশি পাঠ করা সুন্নত ও বাঞ্ছনীয়।
বিজ্ঞাপন
আরও পড়ুন: একজন মুমিনের রমজান পরিকল্পনা
রজব মাসের সেই প্রসিদ্ধ দোয়াটি হলো- اَللَّهُمَّ بَارِكْ لَنَا فِىْ رَجَبَ وَ شَعْبَانَ وَ بَلِّغْنَا رَمَضَانَ ‘আল্লাহুম্মা বারিকলানা ফি রজাবা ওয়া শা’বানা ওয়া বাল্লিগনা রমাদান।’ অর্থ: ‘হে আল্লাহ! আপনি রজব ও শাবান মাসকে আমাদের জন্য বরকতময় করুন এবং আমাদেরকে রমজান মাস পর্যন্ত (হায়াত দিন) পৌঁছে দিন।’ হজরত আনাস (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (স.) রজব মাস শুরু হলে এই দোয়া পড়তেন। (নাসায়ি: ৬৫৯; মুসনাদে আহমাদ: ২৩৪৬, আল-মুজামুল আওসাত: ৩৯৩৯)
আরও পড়ুন: রজব মাসে রমজানের প্রস্তুতি, দোয়া ও আমল
উল্লেখ্য, আজ বুধবার (১ জানুয়ারি) দেশের আকাশে রজব মাসের চাঁদ দেখা গেছে। ২৭ জানুয়ারি (২৬ রজব) দিবাগত রাতে শবে মেরাজ পালিত হবে। প্রিয়নবী (স.) এই রাতে আল্লাহর বিশেষ মেহমান হিসেবে আরশে আজিমে আরোহণ করেন। তিনি আল্লাহ তাআলার দিদার লাভ করেন এবং পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের হুকুম নিয়ে দুনিয়ায় প্রত্যাবর্তন করেন।