ডেঙ্গু পরিস্থিতি গুরুতর হওয়ায় রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় মশা প্রতিরোধ সামগ্রীর বিক্রি বেড়েছে। মশারি, কয়েল, স্প্রে, লিকুইড রিফিল ও ইলেকট্রিক ব্যাটের চাহিদা গত এক মাসে কয়েক গুণ বেড়েছে।
রাজধানীর নিউমার্কেট, মিরপুর, ফার্মগেট, মগবাজারসহ বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, এসব পণ্যের দোকানে ভিড় লেগে আছে ক্রেতাদের। অনেক দোকানে মশারি ও স্প্রে ‘আউট অব স্টক’। পাইকারি বাজারেও এসব পণ্য সরবরাহের চাপ বেড়েছে বলে জানাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা।
বিজ্ঞাপন
নিউমার্কেটের এক বিক্রেতা বলেন, আগে দিনে পাঁচ থেকে সাতটি মশারি বিক্রি হতো, এখন বিক্রি হচ্ছে ১৫/২০টি। অন্যদিকে ফার্মগেটের এক দোকানদার জানান, স্প্রে ও কয়েল একসঙ্গে বেশি পরিমাণে নিচ্ছেন ক্রেতারা, ফলে প্রতিদিন নতুন করে সরবরাহ বাড়াতে হচ্ছে।
বিক্রেতাদের তথ্য অনুযায়ী, মশারির দাম আগের তুলনায় ১০ থেকে ৩০ শতাংশ বেড়েছে। মাঝারি মানের একটি মশারি এখন বিক্রি হচ্ছে ৯০০ থেকে ১২০০ টাকায়, যা আগে ছিল ৬০০ থেকে ৮০০ টাকার মধ্যে। কয়েলের প্যাকেট ৮০ টাকার পরিবর্তে এখন বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৪০ টাকায়। স্প্রে ও লিকুইড রিফিলের দামও বেড়েছে গড়ে ১০ থেকে ২০ শতাংশ।

চাহিদা বাড়ায় উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোতেও ব্যস্ততা বেড়েছে। ডেঙ্গুর প্রকোপের কারণে শুধু শহর নয়, গ্রামীণ বাজারেও মশা প্রতিরোধ সামগ্রীর বিক্রি বেড়েছে। দোকানদাররা জানিয়েছেন, বিভিন্ন জেলার দোকানদাররা অনেক বেশি পরিমাণে কয়েল ও মশারির অর্ডার দিচ্ছেন।
বিজ্ঞাপন
এদিকে, অনলাইন মার্কেটপ্লেসগুলোতেও মশা প্রতিরোধ পণ্যের বিক্রি বেড়েছে। দারাজ, চালডাল ও অন্যান্য অনলাইন প্ল্যাটফর্মে মশারি ও স্প্রের অর্ডার আগের তুলনায় দ্বিগুণ হয়েছে বলে জানা গেছে।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, হঠাৎ চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় সরবরাহব্যবস্থায় কিছুটা চাপ সৃষ্টি হয়েছে। তবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে পাইকারি পর্যায়ে নতুন চালান আনার চেষ্টা চলছে।
এম/জেবি


















