গেল বছরের এই সময় খুলনায় ডেঙ্গু পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছিল। সে তুলনায় চলতি বছরে স্বস্তিতে রয়েছে খুলনাবাসী। সরকারি বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে ডেঙ্গু রোগীর উপস্থিতি একেবারেই কম। খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কিছু রোগী থাকলেও বিভাগের অন্তত সাতটি জেলায় গত কয়েক দিনে উল্লেখযোগ্য রোগী ভর্তি হননি।
খুলনার বেশ কয়েকটি হাসপাতালে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সবচেয়ে বড় সরকারি হাসপাতাল খুলনা মেডিকেল কলেজে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা কম। সেখানে মোট ভর্তি রোগীর সংখ্যা ৪৬ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় ভর্তি হয়েছেন ১১ জন। চলতি বছর মোট চিকিৎসা নিয়েছেন ৩৮৭ জন। এছাড়া শহরের অন্যান্য হাসপাতালগুলোতে ভর্তি রয়েছেন ২১ জন।
বিজ্ঞাপন
নগরীর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল, বেসরকারি খুলনা সিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, গাজী মেডিকেল, আদ্ব-দ্বীন হাসপাতাল, ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালে মিলে ভর্তি রয়েছেন ২১ জন রোগী। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন কোনো রোগী ভর্তি হননি।
খুমেক হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ও ডেঙ্গুর ফোকাল পার্সন ডা. হোসেন আলী ঢাকা মেইলকে বলেন, গত বছরের তুলনায় চলতি বছর ডেঙ্গু রোগীর চাপ কম। সে কারণে আলাদা ওয়ার্ডের ব্যবস্থা করা হয়নি। তবে ডেঙ্গু রোগীদের সুচিকিৎসার স্বার্থে আলাদা ওয়ার্ডের বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে।
বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালকের দফতরের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ১০ জেলার হাসপাতালগুলোতেও গত শনিবার (২৫ অক্টোবর) সকাল পর্যন্ত ১৮৪ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি ছিলেন। গত বছর এই সময় পর্যন্ত যা ছিল দ্বিগুণ। এর মধ্যে ২৪ ঘণ্টায় ভর্তি হয়েছেন ১৩ জন। সবচেয়ে বেশি রোগী ভর্তি রয়েছেন খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। বিভাগে এ পর্যন্ত চলতি বছর ডেঙ্গুতে মৃত্যু হয়েছে আটজনের। যা গত বছর ছিল ১৭ জন।
বিজ্ঞাপন
চলতি বছর ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত বিভাগের সরকারি বেসরকারি হাসপাতাল মিলে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছেন তিন হাজার ৪৫৪ জন। এর মধ্যে চিকিৎসা নিয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন তিন হাজার ২৪৬ জন।
এদিকে ডেঙ্গুর প্রকোপ কিছুটা কম থাকায় খুলনা সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে নগরীর পিকচার প্যালেস মোড়ে মাইকিং ছাড়া তেমন কোনো পদক্ষেপ চোখে পড়ছে না। তবে মাঝে মধ্যে করপোরেশনের মশানিধন টিমকে সক্রিয় হতে দেখা যায়।
কেসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. করীফ শাম্মিউল ইসলাম ঢাকা মেইলকে বলেন, ডেঙ্গু প্রতিরোধে সিটি করপোরেশনের কনজারভেঞ্জি বিভাগ নগরীতে মশক নিধনের কাজটি করে থাকে। ডেঙ্গু থেকে রক্ষা পেতে আমরা সচেতনতার কাজ করছি। চলতি বছর ডেঙ্গুর প্রকোপ কম। তবু নগরীর পাঁচটি স্পটে আমরা নিরবচ্ছিন্নভাবে মাইকিংয়ের ব্যবস্থা রেখেছি। এছাড়া লিফলেট বিতরণের মাধ্যমেও ডেঙ্গু বিষয়ে সচেতনতা বাড়াতে কাজ করছি।
প্রতিনিধি/জেবি


















