ঢাকার হজরত শাহজালাল বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে লাগা ভয়াবহ আগুন প্রায় সাত ঘণ্টার চেষ্টায় নিয়ন্ত্রণে এসেছে। আগুন নেভাতে ফায়ার সার্ভিসসহ অন্যান্য সংস্থা কাজ করে।
শনিবার (১৭ অক্টোবর) রাত ৯টা ২১ মিনিটে ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বিমানবন্দরে কার্গো ভিলেজে লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে।
বিজ্ঞাপন
ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে পাঠানো ক্ষুদে বার্তায় বলা হয়েছে, রাত ৯টা ১৮ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে।
এর আগে বেলা সোয়া ২টার দিকে আগুন লাগে। ফায়ার সার্ভিস খবর পায় বেলা আড়াইটার দিকে।
ভয়াবহ এই আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে ফায়ার সার্ভিসের ৩৬টি ইউনিট। সঙ্গে যোগ দেন সেনা, নৌ এবং বিমান বাহিনীর সদস্যরাও। এছাড়া সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলে প্রায় পাঁচ হাজার পুলিশ এবং বিজিবি সদস্য মোতায়েন করা হয়।

বিজ্ঞাপন
আগুন লাগার কিছুক্ষণ পর থেকে বন্ধ করে দেওয়া হয় ফ্লাইট ওঠানামা। রাত ৯টার কিছু সময় ফ্লাইট চলাচল স্বাভাবিক হয়। এ সময় বেশ কিছু আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চট্টগ্রাম ও সিলেটে অবতরণ করে।
হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালকের মুখপাত্র মো. মাসুদুল হাসান মাসুদ জানান, কার্গো সেকশনের পাশে একটি অংশে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। পরে তা পাশের কেমিক্যাল গুদামে ছড়িয়ে পড়ে। এজন্য আগুন নেভাতে বেশ বেগ পেতে হয়।
এদিকে এই আগুন নাশকতা কি না তা খতিয়ে দেখতে ছয় সদস্যের তদন্ত কমিটি করেছে সরকার। এছাড়া এই অগ্নিকাণ্ডের পেছনে নাশকতার হাত থাকলে দায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানানো হয়েছে।
আগুনে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে ক্ষয়ক্ষতির চিত্র এখনো পুরোপুরি সামনে আসেনি।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার দুপুরে চট্টগ্রামের রফতানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলে (ইপিজেড) অবস্থিত অ্যাডামস ক্যাপ অ্যান্ড টেক্সটাইলস লিমিটেডের একটি কারখানায় আগুন লাগে, যা প্রায় সাড়ে ১৭ ঘণ্টা পর শুক্রবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে নিয়ন্ত্রণে আসে। এর আগে গত মঙ্গলবার মিরপুরের শিয়ালবাড়ির একটি টিনের ছাউনির দোতলা রাসায়নিক গুদামে আগুন লাগে। এতে মৃত্যু হয় অন্তত ১৬ জনের।
সরকারের বিবৃতিতে বলা হয়, ‘বাংলাদেশ অতীতেও বহু কঠিন সময় অতিক্রম করেছে। আমরা ঐক্য, সংযম ও দৃঢ় সংকল্প নিয়ে আমাদের গণতন্ত্রের উত্তরণের পথে যেকোনো হুমকির মোকাবিলা করব। আমাদের ভয় পাওয়ার কিছু নেই।’
বিইউ/জেবি









































