ঢাকার হজরত শাহজালাল বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ছয় সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স।
এই কমিটিকে পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে অগ্নিকাণ্ডের নেপথ্যের কারণ, ক্ষয়ক্ষতি ও দায়দায়িত্ব নির্ধারণ করে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
শনিবার (১৮ অক্টোবর) বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের প্রশাসন ও মানব সম্পদ পরিদফতরের পরিচালক (প্রশাসন ও মানবসম্পদ) মো. নওসাদ হোসেন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, কমিটির সভাপতি করা হয়েছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের চিফ (ফ্লাইট সেফটি)। এছাড়া বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের একজন প্রতিনিধি থাকবেন সদস্য হিসেবে।
কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন, মহাব্যবস্থাপক (করপোরেট সেফটি অ্যান্ড কোয়ালিটি), চিফ ইঞ্জিনিয়ার (কোয়ালিটি অ্যাস্যুরেন্স), উপ-মহাব্যবস্থাপক (সিকিউরিটি), উপ-মহাব্যবস্থাপক (কার্গো-রফতানি) এবং উপ-ব্যবস্থাপক (ইন্স্যুরেন্স)।
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, কমিটি অগ্নিকাণ্ডের কারণ চিহ্নিত করা, ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ, দায়দায়িত্ব নিরূপণ এবং ভবিষ্যতে এমন দুর্ঘটনা প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় সুপারিশ তৈরি করবে।

কমিটিকে আগামী পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইওর কাছে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।
এর আগে দুপুর আড়াইটার দিকে শাহজালাল বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের ৩৬টি ইউনিট। যোগ দিয়েছে সেনা, নৌ এবং বিমান বাহিনীর সদস্যরাও। এছাড়া সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলে আছে প্রায় পাঁচ হাজার পুলিশ এবং বিজিবি।

এদিকে অগ্নিকাণ্ডের পর থেকে ফ্লাইট রেডারে বন্ধ দেখাচ্ছে বিমান চলাচল। আগুনের কারণে এরই মধ্যে সৌদি আরবের রিয়াদ থেকে ঢাকাগামী একটি ফ্লাইট সিলেটের ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেছে। ঢাকাগামী কিছু ফ্লাইট চট্টগ্রামের শাহ আমানত বিমানবন্দরে এবং কলকাতায়ও অবতরণ করেছে।
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালকের মুখপাত্র মো. মাসুদুল হাসান মাসুদ জানান, কার্গো সেকশনের পাশে একটি অংশে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। পরে তা পাশে তা কেমিক্যাল গুদামে ছড়িয়ে পড়ে।
এএইচ









































