শুক্রবার, ৫ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

শাহজালালে অগ্নিকাণ্ড: শত শত টন মালামাল পুড়ে ছাই 

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১৮ অক্টোবর ২০২৫, ০৮:৪৯ পিএম

শেয়ার করুন:

S
বিমানবন্দরের আগুন নেভানোর কাজে ব্যস্ত ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা। চবি- ঢাকা মেইল

ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে লাগা আগুনে বিভিন্ন গুদামে থাকা শত শত টন মালামাল পুঁড়ে ছাই হয়ে গেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। 

বিমানবন্দরের আট নম্বর গেটের সামনে বিমানবন্দরে কাজ করে এমন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য জানা গেছে। 


বিজ্ঞাপন


কুরিয়ারের মাস্টার ইয়ার কোম্পানির সিএনএফ এজেন্ট মো. রোকন মিয়া বলেন, ‘প্রতিদিন টন টন মাল কার্গো হয়ে আসে। এই ঘটনায় বিশাল ক্ষতির মুখে পড়বে ব্যবসায়ীরা। স্কাই ক্যাপিটেলের অফিসে কেমিক্যাল, ফেব্রিক, মেশিনারিজসহ সব ধরনের মালামাল রাখা হয়।’

ইমপোর্ট সেকশনের কর্মী সোহেল মিয়া বলেন, আট নম্বর গেটের সঙ্গে লাগানো কুড়িয়ার সার্ভিসের গোডাউন, এরপর ফার্মাসিউটিক্যাল ও ভ্যাড়াইটিস পণ্যের গোডাউন। মাঝখানে কুল রুম, ডেঞ্জারাস গুডসের গোডাউন অর্থাৎ এই গোডাউনে বিস্ফোরক দ্রব্য রাখা হয়। এরপর আমদানি করা মোবাইলের গোডাউন। সর্বশেষ বিজিএমই-এর গোডাউন। যেখানে পোশাক কারখানাগুলো রফতানি করার জন্য তাদের তৈরিকৃত মালামাল রাখে।

তিনি বলেন, ডেঞ্জারাস গুডসের গোডাউনে আগুন লেগেছে। সেখানে রাখা বিস্ফোরক দ্রব্যগুলোফ বিকট আওয়াজ করে ফুটছিল। এই আগুন সহজে নেভানো যাবে না। কারণ,ডেঞ্জারাস গুডস গোডাউনে পানি দিলেও আগুন নিভবে না।

n2


বিজ্ঞাপন


আড়াইটন মাল নেমেছে, সব পুড়ে গেছে আশঙ্কা সুলতানের 

কুরিয়ার কোম্পানি তামিম এক্সপ্রেস লিমিটেড পরিচালক সুলতান আহমেদ কার্গো কমপ্লেক্সের সামনে দাঁড়িয়ে আক্ষেপ করে বলেন, ‘শনিবার হাফ শিপটিং কার্যক্রম চলে কার্গো কমপ্লেক্সে। সকাল ৯টা থেকে দেড়টা পর্যন্ত খোলা ছিল। আমাদের কোম্পানির আড়াই টন মাল নেমেছে, সব পুড়ে গেছে নিশ্চিত।’

তিনি জানান, বিমানবন্দরের যে অংশে আগুন লেগেছে সেখানে আমদানি করা সব ধরনের মালামালের গুদাম। দুপুরেই আড়াই টন আমদানি করা গার্মেন্টস পণ্য নামানো হয়েছে। সব মাল পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।  

কোন ধরণের মালামাল ছিল- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘সব গার্মেন্টস আইটেম মাল ছিল। বাটন, জিপার ফেব্রিকস ও বিভিন্ন লেভেল আইটেম।’

জানা যায়, বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে ৩৫টি আন্তর্জাতিক কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে আমদানি হয়ে আসা মালামাল খালাস হয় এই কাউন্টারের মাধ্যমে। পাশেই রয়েছে পাবলিক টয়লেট। এছাড়া বাইরের অংশে রয়েছে কুরিয়ারের মালামাল নিতে আসা লোকদের ওয়েটিং রুম। এই ওয়েটিং রুমের পেছনের অংশেই স্কাই ক্যাপিটাল লাউঞ্জ। 

স্কাই লাউঞ্জের পাশে কেমিক্যালসহ সব ধরনের মালামাল রাখা হতো। এটির সঙ্গে কাস্টম কর্মকর্তাদের একটি রেস্ট রুম রয়েছে। আর বি-গেটের বিপরীত পাশে কার্গো কমপ্লেক্সের এক নম্বর গেট। এই এলাকায় সব কেমিক্যাল বা রাসায়নিক দ্রব্য রাখা হতো। 

এমআইকে/এএসএল/এএইচ

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

টাইমলাইন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর