মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ, ২০২৫, ঢাকা

রমজানে চুলায় পাতিল বসিয়ে বিপদে পড়ছেন গৃহিণীরা

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১৭ মার্চ ২০২৫, ০৯:০৭ এএম

শেয়ার করুন:

loading/img

দিনের বেশির ভাগ সময় গ্যাস না থাকায় চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে রাজধানীর অনেক পরিবারকে। কখনো রাতে আবার কখনো ভোরে গ্যাস আসে। থাকে অল্প সময়ের জন্য। প্রথম রমজান থেকেই এই দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে নগরবাসীকে। অনেক এলাকায় দুপুর গড়াতেই গ্যাস কমতে থাকে, বিকেল হলে গায়েব হয়ে যায়। 

রমজানে প্রতিদিনের ব্যস্ততা ইফতার ও সাহরির প্রস্তুতি। কিন্তু চুলায় পাতিল বসানোর পরে বিপাকে পড়ছে রাজধানীর অনেক পরিবার। সময় মতো মিলছে না গ্যাস। ইফতারের আগে চুলায় আচ বাড়াতেই গায়েব হয়ে যায় গ্যাস। রমজানের শুরু থেকেই বিভিন্ন এলাকায় দেখা দিয়েছে গ্যাস সংকট। দুপুরের পর থেকে কমতে শুরু করে গ্যাসের চাপ। এতে সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়তে হচ্ছে গৃহিণীদের। 


বিজ্ঞাপন


জানা গেছে, গ্যাস সংকট থেকে বিকল্প পথ খুঁজছেন মধ্যবিত্ত ও উচ্চবিত্তরা। ঝুঁকি জেনেও কেউ ঝুঁকছেন সিলিন্ডারে। কেউ ব্যবহার করছেন বিদ্যুতের চুলা। আবার কেউ ব্যবহার করছেন তেলের চুলা। 

এদিকে গ্যাস না থাকলেও সময় মতো বিল পরিশোধ করতে হয়। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে নগরবাসী। 

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মগবাজার, পূর্ব নয়াটোলা, মধুবাগ, রামপুরার পশ্চিম হাজিপাড়া, শাহজাহানপুর, খিলগাঁও, বাসাবো, মানিকনগর, পুরান ঢাকার লালবাগ, হাজারীবাগ, মিরপুর ও উত্তরা কিছু অংশ এলাকার বাসা বাড়িতে গ্যাস সংকট তীব্র আকার ধারণ করেছে।


বিজ্ঞাপন


ঢাকা শহরের বিভিন্ন এলাকা থেকে গ্যাস না পাওয়ায় বিষয়টি ফোনে জানানো হচ্ছে তিতাসের অভিযোগ কেন্দ্রে। তিতাস কর্তৃপক্ষ বলছে, সরবরাহ কম থাকার কারণে রাজধানীর কিছু এলাকায় গ্যাসের সংকট রয়েছে।

চুলায় গ্যাস পেতে রাতের জন্য অপেক্ষা করতে হয় বলে অভিযোগ বেশির ভাগ গ্রাহকের। তাই তারা রান্নার কাজে বিকল্প হিসেবে এলপিজি ব্যবহার করেন। এতে তাদের খরচ বেড়ে যাচ্ছে। 

উত্তর শাহজাহানপুরের বাসিন্দা উম্মে সাদিয়া ঢাকা মেইলকে বলেন, ‘রমজান মাস শুরু হওয়ার পর গ্যাসে প্রচণ্ড সমস্যা করছে। দুপুরে রান্না না করলে ইফতার এবং সাহরি খাওয়া সম্ভব হয় না। এতদিন দুপুরে রান্না করতে পারলেও গত দুই দিন যাবত দুপুরে রান্না করাও দায় হয়ে দাঁড়িয়েছে।’ 

লালবাগের বাসিন্দা আসমা আক্তার ঢাকা মেইলকে বলেন, ‘ভোররাত থেকে সকাল ৯টা পর্যন্ত মোটামুটি গ্যাস থাকে। এরপর ধীরে ধীরে কমতে শুরু করে। এই সমস্যা আজকে নতুন নয়, এখন যদিও কিছু সময়ের জন্য গ্যাস থাকে। তবে মাস-দুয়েক আগেও গ্যাস দিয়ে রান্না করার সুযোগ ছিল না। বিকল্প হিসেবে ইলেকট্রনিক চুলা ব্যবহার করছি। ইলেকট্রনিক চুলায় অনেক সময় লাগে, এজন্য আবার সিলিন্ডারও ব্যবহার করছি। ব্যবহার না করলেও গ্যাসের বিল প্রতি মাসেই দিতে হচ্ছে।’

শাহজাহানপুরের বাসিন্দা রাবেয়া মনি ঢাকা মেইলকে বলেন, ‘সারা বছরই গ্যাসের সংকট থাকে। যখন গ্যাস প্রয়োজন তখন থাকে না। রমজান মাস আসার পরে গ্যাসের চরম সংকট দেখা দিয়েছে। সারাদিন রোজা রাখার পরে ইফতারটুকু তৈরি করা অসম্ভব হয়ে যায়। গ্যাসের কোনো চাপ থাকে না। যে গ্যাস থাকে তা দিয়ে ইফতার তৈরি সম্ভব হয় না ‘

এমই/জেবি

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

টাইমলাইন