রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) নির্বাচনসহ সিনেট প্রতিনিধি ও হল সংসদ নির্বাচন চলমান। নির্বাচনকে সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য করতে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। তারা বলছেন, আজ সকাল থেকে ক্যাম্পাসে বহিরাগত প্রবেশ একেবারেই নিষিদ্ধ করা হয়েছে। নিরাপত্তার স্বার্থে ছয় স্থানে গেটে নিরাপত্তার জন্য চেকপোস্ট বসানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) সকাল ৯টায় ভোটগ্রহণ শুরু হলেও, নিরাপত্তা ব্যবস্থা বাস্তবায়ন শুরু হয় এর আগে থেকেই। এর আগে বুধবার থেকেই শুরু হওয়া প্রস্তুতিমূলক নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক, কাজলা ও বিনোদপুর ফটকে গিয়ে দেখা গেছে, প্রতিটি প্রবেশপথে পুলিশের চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। প্রবেশের আগে সবার পরিচয়পত্র যাচাই করা হচ্ছে। শুধুমাত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী, শিক্ষার্থী, গণমাধ্যমকর্মী এবং বৈধ পরিচয়পত্রধারী ব্যক্তিরাই ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে পারছেন।
নির্বাচনকে সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে প্রশাসনকে সহযোগিতার জন্য মোতায়েন করা হয়েছে ২ হাজার ৩০০ পুলিশ সদস্য। রাজশাহীর পাশাপাশি বিভাগের অন্যান্য জেলা থেকেও পুলিশ সদস্যরা এখানে উপস্থিত রয়েছেন। এছাড়াও ৬ প্লাটুন বিজিবি এবং ১২ প্লাটুন র্যাব সদস্য নির্বাচনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে মাঠে রয়েছেন।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনী একযোগে কাজ করে ভোটগ্রহণকে শান্তিপূর্ণ ও স্বচ্ছ করতে সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে। ক্যাম্পাসের প্রবেশপথে চেকপোস্ট, পরিচয়পত্র যাচাই, তল্লাশি এবং মোতায়েনকৃত নিরাপত্তা বাহিনীর উপস্থিতি নিশ্চিত করছে যে নির্বাচনের প্রতিটি ধাপ নিয়ন্ত্রিত ও নিরাপদভাবে সম্পন্ন হবে।
নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের মধ্যে উৎসাহ বিরাজ করছে। ভোট প্রদানের ব্যাপক আগ্রহ লক্ষ করা গেছে শিক্ষার্থীদের মধ্যে, যেখানে প্রশাসন এমন পরিবেশ নিশ্চিত করার চেষ্টা করছে যাতে কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা বা অনৈতিক কার্যক্রম না ঘটে।
বিজ্ঞাপন
এ ছাড়াও প্রশাসন ও নিরাপত্তা বাহিনী মনোযোগী রয়েছেন, যাতে ভোটগ্রহণের সঙ্গে সঙ্গে শিক্ষার্থীদের শিক্ষার পরিবেশও বিঘ্নিত না হয়। প্রতিটি ধাপ পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে, যাতে ভোট প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ স্বচ্ছ ও গ্রহণযোগ্য হয়।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে রাকসু নির্বাচন ৩৫ বছর পর অনুষ্ঠিত হওয়ায় এবারের ভোট শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিশেষ আগ্রহ সৃষ্টি করেছে। প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং শিক্ষার্থীদের সমন্বিত প্রচেষ্টা নিশ্চিত করবে যে নির্বাচন কতটা শান্তিপূর্ণ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য হবে।
এএইচ/এফএ



































