শুক্রবার, ৫ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

‘নির্যাতন-দমন’ পেরিয়েও শিবিরের জাকসু জয়

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০১:৩৫ পিএম

শেয়ার করুন:

‘নির্যাতন-দমন’ পেরিয়েও শিবিরের জাকসু জয়
‘নির্যাতন-দমন’ পেরিয়েও শিবিরের জাকসু জয়
  • ছাত্রজীবন শেষ করতে পারেনি সহস্রাধিক শিক্ষার্থী
  • ভাইভা দিতে আসা শিক্ষার্থীকে শিবির সন্দেহে পিটিয়ে হত্যা
  • হলে ভিন্ন ভিন্ন কোড ব্যবহার করে চলত শিবিরের সাংগঠনিক কার্যক্রম
  • শিবিরের কাছে জাবির সাংকেতিক নাম ছিল ‘কেজা’


জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের অবস্থান ছিল নিষিদ্ধের চেয়েও কঠিন। তিন দশকের বেশি সময় ধরে সংগঠনটি প্রকাশ্যে কোনো কার্যক্রম চালাতে পারেনি। শিবির সন্দেহে বহু শিক্ষার্থীকে নিপীড়নের শিকার হতে হয়েছে। ভুক্তভোগীরা বলছেন, যেখানে পাখি হত্যা করলেও শাস্তির বিধান আছে, সেখানে শিবিরকর্মী হত্যা ছিল যেন বৈধ। সহস্রাধিক শিক্ষার্থীকে শিক্ষাজীবন শেষ না করেই ক্যাম্পাস ছাড়তে হয়েছে। তবুও থেমে থাকেনি শিবির। গোপনে এবং নানা কৌশলে সংগঠনের কার্যক্রম চালিয়ে গেছে তারা। এমনকি বিশ্ববিদ্যালয়ের নামও ব্যবহার করত সাংকেতিকভাবে।


বিজ্ঞাপন


২০২৪ সালে ছাত্র-জনতার জুলাই অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির দেশের বিভিন্ন জায়গায় প্রকাশ্যে কাজ শুরু করে। দীর্ঘ ৩৫ বছর পর, গত বছরের ২৯ অক্টোবর জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) প্রকাশ্যে আসে শিবিরের শাখা দায়িত্বশীলরা। সেদিন সভাপতি হিসেবে হারুনুর রশিদ রাফি এবং সেক্রেটারি হিসেবে মুহিবুর রহমান মুহিবের নাম ঘোষণা করা হয়। পরে শাখার পূর্ণাঙ্গ কমিটিও প্রকাশ করা হয়।

সেদিন জাবি শিবিরের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ৫ আগস্টের ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের চেতনা ধারণ করে তারা গণতান্ত্রিক সংস্কৃতির বিকাশে কাজ করতে চায়। ক্যাম্পাসে সুস্থ ধারার রাজনীতি ও ছাত্র সংসদকেন্দ্রিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনার পক্ষে ছাত্রশিবির সবসময় প্রস্তুত। তারা অভিযোগ করে, দীর্ঘদিন ধরে কিছু ব্যক্তি ও গোষ্ঠী আদর্শিকভাবে পরাজিত হয়ে শিবিরকে নিষিদ্ধ ঘোষণার একটি ভুল ধারণা ছড়িয়েছে। কিন্তু এর কোনো ভিত্তি নেই।

সংগঠনটি জানায়, ১৯৮৯ সালের ১৫ আগস্ট অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেটের ১৪২তম সভায় শিবির নিষিদ্ধের প্রস্তাব এলেও তা অনুমোদন হয়নি। বরং সভায় বলা হয়েছিল, বিশ্ববিদ্যালয়ের আওতাভুক্ত না হওয়ায় এ বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব নয়। শিবিরের দাবি, মিথ্যা প্রোপাগান্ডা দিয়ে তাদের নিষিদ্ধ দেখানো যাবে না। ক্যাম্পাসে শিবিরকে নিষিদ্ধ ঘোষণা ও ‘ট্যাগিং রাজনীতি’ মূলত ফ্যাসিবাদ কায়েমে সহায়ক ভূমিকা রেখেছে।


বিজ্ঞাপন


প্রায় ৩৩ বছর পর, গত ১১ সেপ্টেম্বর জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জাকসু) নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ২৫টি পদের এই নির্বাচনে ভিপি পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুর রশিদ জিতু বিজয়ী হন। তবে জিএস পদে জয়ী হন ছাত্রশিবির মনোনীত প্যানেলের মো. মাজহারুল ইসলাম। এছাড়াও দুইজন এজিএসসহ মোট ২০টি পদেই জয় পায় শিবির-সমর্থিত প্যানেল। এত বড় ব্যবধানে শিবিরের জয় অনেকের কাছেই ছিল চমকপ্রদ।

জাকসু নির্বাচনের ফলাফলের পর প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে শিবিরের ভিপি প্রার্থী আরিফুল্লাহ আদিব বলেন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় এমন এক জায়গা, যেখানে শিবিরকর্মীদের জীবন দিতে হয়েছে। তিনি বলেন, এখানে অতিথি পাখি হত্যারও বিচার হয়, কিন্তু শিবিরকর্মীকে পিটিয়ে হত্যা করলেও কেউ বিচার চায় না। আরিফুল্লাহ জানান, শুধু ছাত্রশিবির করার কারণে ১৯৮৯ থেকে ১৯৯৫ সালের মধ্যে দেড় শতাধিক নেতাকর্মীকে ছাত্রত্ব শেষ না করেই ক্যাম্পাস ছাড়তে হয়েছে।

আরিফুল্লাহ আদিব বলেন, ১৯৯৪ সালের ১৬ আগস্ট আমরা হারিয়েছি আমাদের ভাই কামরুল ইসলামকে। তিনি ভর্তি পরীক্ষার ভাইভা দিতে এসে শুধুমাত্র শিবির সন্দেহে পিটুনিতে মারা যান। তিনি আরও বলেন, আরেকজন ভাইকে শুধু শিবির করার কারণে শেখ হাসিনার আমলের পুলিশ গুলি করে পঙ্গু করে দেয়। তবুও এত বাধা, নির্যাতন আর শোকের মধ্যেও ইসলামী ছাত্রশিবির এবার পূর্ণাঙ্গ প্যানেল উপস্থাপন করেছে। সেই প্যানেল থেকেই ২০ জন বিজয়ী হয়েছে। এজন্য আমরা মহান আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করছি।

ফলাফল ঘোষণার পর প্রতিক্রিয়ায় ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম বলেন, আলহামদুলিল্লাহ, আল্লাহ অতি মহান। তিনি বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো জাহাঙ্গীরনগরেও শিক্ষার্থীরাই জয়ী হয়েছে। যে ক্যাম্পাসে একসময় ছাত্রশিবিরের পরিচয় দেওয়াও ছিল প্রাণঘাতী, আজ সেখানে এই বিজয় আল্লাহর বিশেষ অনুগ্রহ।

তিনি জানান, ‘আমরা কোনো জায়গায় আনন্দ মিছিল করব না। কেবল মহান আল্লাহর দরবারে সেজদা দিয়ে শুকরিয়া আদায় করব।’

জাহিদুল ইসলাম বলেন, আমাদের কারো প্রতি কোনো অভিযোগ বা বিদ্বেষ নেই। বরং নিজেদের এবং অন্য ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনগুলোর ভুলের জন্য আমরা আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাই। তিনি আরও বলেন, গর্ব আর অহংকার নয়, তা হোক আমাদের পায়ের ধুলো। আর ব্যবহারিক জীবনে আমাদের অলংকার হবে বিনয় ও উদারতা। সব শেষ তিনি বলেন, গৌরবময় ইতিহাস আর ঐতিহ্যের প্রতীক জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় হোক সম্প্রীতির এক উজ্জ্বল উদাহরণ। আর আমাদের প্রিয় বাংলাদেশ হয়ে উঠুক সত্যিকারের সবার বাংলাদেশ।

জাকসুতে ছাত্রশিবিরের বিজয়ের পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেকেই তাদের স্মৃতি ও অনুভূতি প্রকাশ করেছেন। কেউ কেউ ফিরে গেছেন পুরোনো দিনের কঠিন অভিজ্ঞতায়। তাদের মধ্যে অন্যতম জামায়াতের সাবেক আমির মরহুম অধ্যাপক গোলাম আযমের ছেলে সালমান আল আজমী। তিনি তার ফেসবুক প্রোফাইলে দেওয়া এক পোস্টে নিজের বেদনাময় অতীতের কথা তুলে ধরেন। তিনি লিখেন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে আমার জীবনের এক কষ্টের অধ্যায় জড়িয়ে আছে। ১৯৮৮ সালের নভেম্বরে আমি ইংরেজি বিভাগে ক্লাস শুরু করি। কিছুদিনের মধ্যেই সবাই জেনে যায়, আমি গোলাম আযমের ছেলে। ক্যাম্পাসে তখন ইংরেজি বিভাগে একজনেরই দাড়ি ছিল, সে ছিল ক্রিকেট দলের উইকেটকিপার। তাই আমাকে চিনতে কারও সময় লাগেনি।

তিনি জানান, তখন শিবির ক্যাম্পাসে প্রকাশ্যে রাজনীতি করত। কিন্তু আমি নিজে রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলাম না। আমি ক্যাম্পাসেও থাকতাম না। শিবিরের সঙ্গে আমার যোগাযোগ ছিল শুধুমাত্র সাংস্কৃতিক কার্যক্রমের মাধ্যমে।

সালমান আল আজমী বলেন, ভর্তির সময় আমি সাইমুম শিল্পীগোষ্ঠীর সহকারী পরিচালক ছিলাম। পরে ১৯৮৯ সালের মার্চ-এপ্রিলের দিকে পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব নিই। তবুও আমাকে সবসময় সন্দেহ আর বিদ্বেষের চোখে দেখা হতো। কথাগুলোর মাধ্যমে তিনি বোঝাতে চেয়েছেন, শিবির সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে কীভাবে তাকে এক কঠিন বাস্তবতার ভেতর দিয়ে যেতে হয়েছিল, যদিও তিনি সরাসরি রাজনীতিতে যুক্ত ছিলেন না।

তিনি লিখেন, ১৯৮৯ সালের আগস্ট মাসের মাঝামাঝি সময়। ফার্স্ট ইয়ার ফাইনাল পরীক্ষার প্রায় দুই সপ্তাহ আগে। আমি শান্তিনগর থেকে বাসে উঠলাম। ওই সময় শুনলাম, আগের রাতে ছাত্রশিবির ও ছাত্রদলের মধ্যে গন্ডগোল হয়েছিল। আমার এক ক্লাসমেট, যিনি প্রতিদিন আমার সঙ্গে যাতায়াত করতেন, আমাকে ক্যাম্পাসে না যাওয়ার পরামর্শ দিলেন। আমি বললাম, সবাই তো জানে আমি ক্যাম্পাসে থাকি না, তাই সমস্যা হওয়ার কথা নয়। কিন্তু আমার বন্ধু তখন বিচক্ষণতার পরিচয় দিলেন। জোর করে আমাকে মগবাজার থেকে নামিয়ে দিলেন। বিকেলে জানতে পারলাম, সেদিন বিশ্ববিদ্যালয়ে বাস ঢোকার সময় সবাই আমাকে খুঁজছিল। এরপর থেকে আর কখনো ক্যাম্পাসে যেতে পারিনি।

সাইফুল্লাহ নাহিদ নামে একজন ফেসবুকে লিখেছেন, সময় ছিল ২০১৪ সাল। তখন দ্বিতীয়বার জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছিলাম। মাদরাসার ছাত্র হওয়ায় আমার জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনো বিষয় ছিল না। তাই মন উঠে যায় পুরোপুরি। এরপর জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য প্রস্তুতি শুরু করি। অনেকের কাছ থেকে শুনতাম, সেখানে পড়াশোনার পাশাপাশি সংগঠনের সাথে জড়িত থাকা অনেক বিপজ্জনক। ওখানে পাখি মেরে ফেললে জরিমানার ব্যবস্থা থাকলেও, দিনে শিবিরকর্মীকে মারাও অপরাধ ছিল না। অনেক ভাইয়ের পরিচয় প্রকাশ হতেই ছাত্রজীবন শেষ হয়ে যেত। এসব কথা মাথায় নিয়ে আমি মনেই ঠিক করি, যত বাধাই আসুক, সম্ভাবনা বেশি। আল্লাহর ওপর ভরসা রেখে পরীক্ষা দিলাম। আলহামদুলিল্লাহ, সম্মানজনকভাবে চান্সও পেয়েছি।

তিনি আরও লিখেছেন, রেজাল্ট পাওয়ার মাত্র তিন দিনের মধ্যে তখন আমি যাত্রাবাড়ী থানার একটি ওয়ার্ডের সভাপতি। ওই সময় যাত্রাবাড়ীর এক এসআই আকাশ নামে একজন ত্রাসের মতো ছিলেন। হঠাৎ তিনি আমাদের মেসে ঢুকে পড়লেন। আমি অনেক অনুরোধ করে রেজাল্ট দেখালাম। বললাম, আমার ভাইভা সামনে, এটা আমার জীবনের স্বপ্ন, আমার ক্যারিয়ার শেষ করবেন না। কিন্তু আকাশ আমাকে লাথি মারলেন, আমি উড়ে গিয়ে পাঁচ-ছয় হাত দূরে পড়ে যাই। থানায় নিয়ে গেলে আমাকে কড়া অত্যাচার করা হয়। তখন তারা জানতে পারে আমি মিল্লাতে ছাত্র ছিলাম এবং জাহাঙ্গীরনগরে চান্স পেয়েছি। অবনি নামের এক ওসি ছিলেন। তিনি শিবিরের কাউকে ধরলেই নিজ হাতে অত্যাচার করতেন। থানা ও রিমান্ড শেষে আমি কারাগারে যাই।

তিনি লিখেন, সংগঠনের ভাইরা অ্যাডভোকেট লুৎফর রহমান আংকেলের মাধ্যমে কোর্ট থেকে অনুমতি নিয়ে ভাইভা দিতে যাই। পায়ে বেড়ি পরিয়ে সিনেমার মতো পরিস্থিতিতে জাহাঙ্গীরনগরে পৌঁছাই। গাড়ি থেকে নামতেই চারপাশের লোকজন আমাকে যেন কোনো বিরল প্রাণী দেখে। অফিসে ঢুকে প্রশাসনিকরা এসে জিজ্ঞেস করলেন, তোমার কী হয়েছে? কেন জেলে ছিলে? প্রথমে কিছু বলিনি, চুপ ছিলাম। হঠাৎ পাশের একজন পুলিশ সদস্য বললেন, সে শিবির করে, তাই জেলে ছিল। একজন শিক্ষক বললেন, এখান থেকে তাকে নিয়ে যাও, জানাজানি হলে আমরা দায়ী থাকব। আমার স্বপ্ন মুকুলেই ঝরে গেল। সেই স্বপ্নের ক্যাম্পাসে আমার পথচলা হলো না। আজ জয়ী হওয়ার খবরে আল্লাহর দরবারে কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি, অশ্রু দিয়ে শুকরিয়া আদায় করছি, আলহামদুলিল্লাহ।

সূত্র জানায়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে শিবির নিষিদ্ধ থাকলেও তারা খুব কৌশলে তাদের কাজ চালিয়ে গেছে। নিষিদ্ধ সময়েও তারা আন্ডারগ্রাউন্ডে সক্রিয় ছিল। তাদের নিজস্ব একটি কোডনেম ছিল, নাম ছিল ‘কেজা’। এই নামেই সবাই তাদের চিনতো। কেন্দ্রীয় কোনো প্রোগ্রামে তারা অংশ নিলে ‘কেজা’ হিসেবে ডাকা হতো। ক্যাম্পাসে কেউ ওপেন শিবিরের রাজনীতি করতে পারতো না। ধরা পড়লে তারও মার খেতে হত। যখন সবাই ‘কেজা’ নামটা বুঝতে শুরু করলো, তখন তারা নাম পরিবর্তন করে নিলো।

তথ্যগুলো বলছে, প্রতিটি হলের আলাদা আলাদা কোড ছিল। শিবির কর্মীদের কাগজপত্র মেইনটেইন করতো, আর নামগুলো কোডের মাধ্যমে লেখা হতো। এক হলের শিবির সদস্যরা অন্য হলের কাউকে চিনতো না। এমনকি একই হলের বিভিন্ন ইউনিটও একে অন্যের পরিচিত ছিল না। কারণ, কেউ ধরা পড়লে অন্যদের নাম দিতে না পারে সে জন্য। সভাপতি, সেক্রেটারি ও অন্যান্য পদগুলোর জন্য আলাদা আলাদা ইউনিক কোড থাকতো। হলের বাইরে যারা থাকতো, তারা একে অন্যের বাসা চিনতো না। এই কথা মোবাইল যুগের আগে সময়ের। নির্দিষ্ট সময়ে সবাই নির্দিষ্ট জায়গায় দেখা করত। কারণ, কেউ ধরা পড়লে অন্যদের অবস্থান প্রকাশ করতে না পারে তার ব্যবস্থা ছিল।

এভাবেই দীর্ঘদিন আন্ডারগ্রাউন্ডে কাজ করে গেছে ছাত্রশিবির। এরপর জুলাই অভ্যুত্থানের পর তারা প্রকাশ্যে রাজনীতি শুরু করে। মাত্র এক বছরে তারা শিক্ষাবান্ধব অনেক কাজ করে ক্যাম্পাসে জায়গা তৈরি করে। এই পরিশ্রমের ফল মেলে জাকসু নির্বাচনে। নির্বাচনে বড় জয় পেলেও তারা কোনো আনন্দ মিছিল করেনি। বরং দেখা গেছে, বিজয়ের পর জাবি মসজিদে গিয়ে তারা শুকরিয়ার নামাজ আদায় করেছে।

টিএই/এইউ

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

টাইমলাইন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর