জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জাকসু) নির্বাচনে শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ হলে ভোটগ্রহণ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে শিক্ষার্থীরা জানান, কেন্দ্রটিতে প্রায় ১৫ মিনিট ধরে ভোটগ্রহণ বন্ধ রয়েছে।
বিজ্ঞাপন
শিক্ষার্থীরা জানান, ভোটগ্রহণ শুরুর পর বেলা পৌনে ১২টার দিকে ইনডেক্স কার্ড ও আইডি কার্ড সংশ্লিষ্ট জটিলতায় ভোটগ্রহণ বন্ধ রাখা হয়।
এ বিষয়ে হল প্রশাসন বা নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক কোনো বক্তব্য এখনো পাওয়া যায়নি।
নির্বাচনে এবার মোট ভোটার সংখ্যা ১১ হাজার ৯১৯ জন। ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২১টি আবাসিক হলের ২২৪টি বুথে। এর মধ্যে ১১টি ছাত্র হল এবং ১০টি ছাত্রী হল। প্রতিটি বুথে দায়িত্ব পালন করছেন একজন করে রিটার্নিং কর্মকর্তা, পোলিং কর্মকর্তা এবং সহকারী পোলিং কর্মকর্তা।
ভোট দিচ্ছেন শিক্ষার্থীরা কেন্দ্রীয় সংসদ এবং হল সংসদের বিভিন্ন পদে। কেন্দ্রীয় সংসদের নির্বাচনে মোট প্রার্থী ১৭৮ জন। এর মধ্যে সহ-সভাপতি (ভিপি) পদে ৯ জন, সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে ৯ জন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক (নারী) পদে ৬ জন এবং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক (পুরুষ) পদে ১০ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ভোটাররা কেন্দ্রীয় ও হল সংসদ মিলিয়ে মোট ৪০টি ব্যালটে তাদের পছন্দের প্রার্থীদের নির্বাচিত করবেন।
বিজ্ঞাপন
এবারের নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে মোট ৮টি প্যানেল। এসব প্যানেলের মধ্যে রয়েছে ছাত্রদল, ইসলামী ছাত্রশিবির, বাম সংগঠনসমূহ, প্রগতিশীল জোট এবং বিভিন্ন স্বতন্ত্র প্যানেল। প্রতিটি প্যানেল নির্বাচনী প্রচারে তুলে ধরেছে শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন ইস্যু— যেমন অধিকার, নিরাপত্তা, স্বাস্থ্যসেবা, পরিবহন সমস্যা, আবাসন সংকট এবং একাডেমিক জবাবদিহিতা।
নির্বাচন ঘিরে বিশ্ববিদ্যালয়জুড়ে নেওয়া হয়েছে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা। বিশ্ববিদ্যালয়ের সব ফটকে বহিরাগতদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। গেরুয়া এলাকা সংলগ্ন ফটকে ঝুলানো হয়েছে ‘বহিরাগত নিষিদ্ধ’ লেখা ব্যানার। অন্যান্য ফটকের তুলনায় গেরুয়া ফটকে বেশি সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে, কারণ অতীত অভিজ্ঞতা অনুযায়ী ওই পথ দিয়ে বহিরাগতদের প্রবেশের চেষ্টা বেশি হয়।
এইউ



























