জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ সেনাবাহিনীকে হস্তান্তরসহ তিন দফা দাবিতে চলমান অনশনে এ পর্যন্ত ১৫ জন শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। রোববার (১২ জানুয়ারি) থেকে এই কর্মসূচি পালন করছেন তারা। এবার অনশনরত শিক্ষার্থীদের সমর্থনে কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন শিক্ষার্থীরা। এতে অচল হয়ে পড়েছে শিক্ষাঙ্গনটি।
সোমবার (১৩ জানুয়ারি) সকালে ক্যাম্পাসের প্রধান ফটকসহ একাধিক ভবনে তালা লাগিয়ে শিক্ষার্থীরা কর্মসূচি শুরু করেন। তারা জানান, তাদের ভাই তাদের জন্য অনশন করে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি আছেন। প্রশাসন কোনো উপযুক্ত পদক্ষেপ নেয়নি। এজন্য তারা দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত কর্মসূচি অব্যাহত রাখবেন।
বিজ্ঞাপন
আরও পড়ুন
অনশনরত শিক্ষার্থীরা জানান, বিকেল ৪টার মধ্যে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও ইউজিসি থেকে সুনির্দিষ্ট কোনো নির্দেশনা না এলে তারা সচিবালয়ের অভিমুখে যাত্রা শুরু করবেন। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইতোমধ্যে অনশনরত শিক্ষার্থীদের আলোচনায় বসার জন্য আহ্বান জানানো হয়েছে। শিক্ষার্থীদের চলমান এই গণঅনশনে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতিও সর্বাত্মক একাত্মতা পোষণ করেছে।
শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, প্রশাসন এখনো চিকিৎসা ব্যয় ঠিকভাবে দিচ্ছে না। তাদের চিকিৎসাসহ বিভিন্ন খরচ শিক্ষার্থীদের টাকায় হচ্ছে। এই প্রশাসন সব দিক দিয়ে ব্যর্থ। তারা দাবি পূরণ হওয়া পর্যন্ত কর্মসূচি চালিয়ে যাবেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনো ক্লাস হতে দেবেন না।
বিজ্ঞাপন
অনশনরত শিক্ষার্থী মাহফুজুর রহমান বলেন, ‘আমাদের দাবি না মানা পর্যন্ত আমরা অনশন ভাঙব না। সবার কাছে অনুরোধ, আপনারা যারা অনশন করছেন না- আপনারা ক্লাস-পরীক্ষা বয়কট করুন। আমাদের দাবি পূরণ করেই আমরা বাড়ি যাব।’
এর আগে সকালে ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের মো. মাকছুদুল হক নামে এক শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সব মিলিয়ে এ পর্যন্ত ১৫ জন শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে ভর্তি আছেন বলে জানা গেছে।
শিক্ষার্থীদের তিন দফা দাবি হলো-
১. সেনাবাহিনীর কাছে দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ হস্তান্তরের চুক্তি অনতিবিলম্বে স্বাক্ষর করতে হবে।
২. পুরান ঢাকার বাণী ভবন ও ড. হাবিবুর রহমান হলের স্টিল বেইজড ভবনের কাজ দ্রুত শুরু এবং শেষ করতে হবে।
৩. যতদিন পর্যন্ত আবাসনব্যবস্থা না হয় ততদিন পর্যন্ত ৭০% শিক্ষার্থীর আবাসন ভাতা নিশ্চিত করতে হবে।
এসএইচএ/জেবি