জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ সেনাবাহিনীকে হস্তান্তরসহ তিন দফা দাবিতে অনশনরত অবস্থায় ১৪ জন শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়েছেন।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) শিক্ষার্থীদের তিন দফা দাবিতে অনশনরত অবস্থায় ১৪ জন শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়েন। তারা বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারে প্রাথমিক চিকিৎসা নিচ্ছেন।
বিজ্ঞাপন
রোববার (১২ জানুয়ারি) রাত পৌনে ১০টার দিকে অনশন চলা অবস্থায় তারা অসুস্থ হয়ে পড়েন।
অসুস্থরা হলেন, ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ১৭ ব্যাচের শিক্ষার্থী আতিকুর রহমান তানজিল, দর্শন বিভাগের ১৫ ব্যাচের শিক্ষার্থী তাওহীদুল ইসলাম, ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের ১৫ ব্যাচের ফয়সাল মুরাদ, আশিকুর রহমান আকাশ, ফেরদৌস শেখ, জুবায়ের রিওন, শের আলী ও সোহাগ আহমেদ, একেএম রাকিব।
এদিন সকাল সাড়ে ৮টায় অনশন শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। সোয়া ৬টার দিকে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলতে আসেন জবি উপাচার্য। শিক্ষার্থীদের নিকট কাজের সার্বিক বিষয় তুলে ধরেন তিনি। এরপর শিক্ষার্থীরা ইউজিসি ও মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিদের আসার দাবি জানান। এ সময় উপাচার্যের সঙ্গে বসে পড়েন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. তাজাম্মুল হক ও শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. রইছ উদ্দীনও।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের তিন দাবি হলো- সেনাবাহিনীর কাছে দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ হস্তান্তরের চুক্তি অনতিবিলম্বে স্বাক্ষর করতে হবে। পুরান ঢাকার বাণী ভবন ও ড. হাবিবুর রহমান হলের স্টিল বেইজড ভবনের কাজ দ্রুত শুরু এবং শেষ করতে হবে। যতদিন অবধি আবাসন ব্যবস্থা না হয় ততদিন পর্যন্ত ৭০ শতাংশ শিক্ষার্থীর আবাসন ভাতা নিশ্চিত করতে হবে।
বিজ্ঞাপন
এদিন শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সঙ্গে একাত্মতা জানিয়ে শিক্ষার্থীদের অনশন ভাঙার অনুরোধ জানান উপাচার্য। তবে শিক্ষার্থীরা তা প্রত্যাখান করেন। শিক্ষার্থীরা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন যেহেতু আমাদের দাবির সঙ্গে একমত আমাদের দাবি এখন ইউজিসি ও মন্ত্রণালয়ের কাছে। তারা আমাদের জানাক।
এদিকে শিক্ষার্থীদের সাথে একাত্মতা পোষণ করে উপাচার্য অধ্যাপক ড. রেজাউল করিম বলেন, তোমরা যে দাবিদাওয়া তোমরা করছো সেই দাবি আমারও। তার ব্যাপারে আজ মন্ত্রণালয়ে চিঠি গেছে। আমরা আজ সারা দিন তোমাদের খোঁজ রাখছি। প্রশাসনের সাথে যোগাযোগ রাখছি। আমরা আমাদের এ আন্দোলনের ফলাফল পাবো। আমরা দৃশ্যমান অগ্রগতি হয়েছে। আমরা কথা দিচ্ছি, আমরা তোমাদের দাবি অনুযায়ী কাজ করব। ছাত্র প্রতিনিধি নিয়ে আমরা একটা কমিটি গঠন করে সকল বিষয় জানাব।
/এএস

