এসএসসি ও সমমানের ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে। প্রকাশিত ফলাফলে দেখা গেছে, এবারের সামগ্রিক পাসের হার ৮৩ দশমিক ০৪ শতাংশ। এর মধ্যে ছাত্রদের পাসের হার ৮১ দশমিক ৫৭ শতাংশ, ছাত্রীদের পাসের হার ৮৪ দশমিক ৪৭। নয়টি সাধারণ শিক্ষাবোর্ডে পাসের হার ৮৩ দশমিক ৭৭ শতাংশ।
প্রকাশিত ফলাফল বিশ্লেষণে দেখা গেছে, যশোর বোর্ডে পাসের হার ৯২ দশমিক ৩২ শতাংশ। আর সর্বনিম্ন সিলেট বোর্ডে পাসের হার ৭৩ দশমিক ৩৫ শতাংশ। এছাড়া, ঢাকা বোর্ডে পাসের হার ৮৯ দশমিক ৩২ শতাংশ, রাজশাহীতে ৮৯ দশমিক ২৫ শতাংশ, কুমিল্লায় ৭৯ দশমিক ২৩ শতাংশ, চট্টগ্রামে ৮২ দশমিক ৮০ শতাংশ, বরিশালে ৮৯ দশমিক ১৩ শতাংশ, দিনাজপুরে ৭৮ দশমিক ৪০ শতাংশ ও ময়মনসিংহে ৮৪ দশমিক ৯৭ শতাংশ। কারিগরি শিক্ষাবোর্ডে পাসের হার ৮১ দশমিক ৩৮ শতাংশ। এছাড়া মাদরাসা শিক্ষাবোর্ডে পাসের হার ৭৯ দশমিক ৬৬ শতাংশ।
বিজ্ঞাপন
এদিকে এবার জিপিএ-৫ এ এগিয়ে রয়েছে ঢাকা শিক্ষাবোর্ড। এই বোর্ডে জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৪৯ হাজার ১৯০ জন শিক্ষার্থী। পরের অবস্থানে রয়েছে রাজশাহী শিক্ষাবোর্ড। এই বোর্ড থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছেন ২৮ হাজার ৭৪ জন শিক্ষার্থী। তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে যশোর শিক্ষাবোর্ড। এই বোর্ড থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছেন ২০ হাজার ৭৬০ জন শিক্ষার্থী। দিনাজপুর শিক্ষাবোর্ড থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছেন ১৮ হাজার ১০৫ জন শিক্ষার্থী। কুমিল্লা বোর্ড থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছেন ১২ হাজার ১০০ শিক্ষার্থী। চট্টগ্রাম বোর্ড থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছেন ১০ হাজার ৮২৩ জন শিক্ষার্থী। সিলেট শিক্ষাবোর্ড থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৫ হাজার ৪৭১ জন শিক্ষার্থী। ময়মনসিংহ বোর্ডে জিপিএ-৫ পেয়েছেন ১৩ হাজার ১৭৫ জন শিক্ষার্থী। এছাড়া বরিশাল বোর্ডে জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৬ হাজার ১৪৫ জন শিক্ষার্থী।
অপর দিকে মাদরাসা শিক্ষাবোর্ড থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছেন ১৪ হাজার ২০৬ জন শিক্ষার্থী। কারিগরি শিক্ষাবোর্ডে জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৮ হাজার ৭৮ জন শিক্ষার্থী।
উল্লেখ্য, গত ১৫ ফেব্রুয়ারি সারাদেশে একযোগে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। লিখিত পরীক্ষা শেষ হয় গত ১২ মার্চ। ব্যবহারিক পরীক্ষা ১৩ মার্চ থেকে ২০ মার্চের মধ্যে অনুষ্ঠিত হয়। ১১টি শিক্ষা বোর্ডের অধীন এ বছর ২০ লাখ ২৪ হাজার ১৯২ জন পরীক্ষার্থী এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে। এর মধ্যে ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের অধীনে পরীক্ষার্থী ছিলেন ১৬ লাখ ৬ হাজার ৮৭৯ জন। মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে দাখিল পরীক্ষার্থী মোট ২ লাখ ৪২ হাজার ৩১৪ জন। কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এসএসসি (ভোকেশনাল) ও দাখিল (ভোকেশনাল) পরীক্ষায় অংশ নেয় ১ লাখ ২৬ হাজার ৩৭৩ জন।
এইউ