বৃহস্পতিবার, ১৬ মে, ২০২৪, ঢাকা

পাঙ্গাস কেজিতে বেড়েছে ৩০ টাকা, দু’শর নিচে মিলছে না তেলাপিয়াও!

মুহা. তারিক আবেদীন ইমন
প্রকাশিত: ১২ মার্চ ২০২৪, ০২:২২ পিএম

শেয়ার করুন:

পাঙ্গাস কেজিতে বেড়েছে ৩০ টাকা, দু’শর নিচে মিলছে না তেলাপিয়াও!

পবিত্র রমজানকে কেন্দ্র করে প্রতিবছর অস্থির হয়ে ওঠে নিত্যপণ্যের বাজার। সুযোগ বুঝে ব্যবসায়ীরা বাড়িয়ে দেন দাম। এবারও এর ব্যতিক্রম হয়নি। রোজা শুরুর আগেই প্রতিটি পণ্যের দাম বাড়তে থাকে লাফিয়ে। সরকারের পক্ষ থেকে নানা আশ্বাস দেওয়া হলেও কোনো কাজে আসেনি। সবজি, ছোলা, গোশত থেকে ‍শুরু করে প্রতিটি পণ্যের দাম চলে গেছে নাগালের বাইরে। বাদ যায়নি মাছও। ছোট কিংবা বড় সব মাছেরই দাম আকাশছোঁয়া। তিন দিনের ব্যবধানে পদভেদে বিভিন্ন মাছের দাম ২০ টাকা থেকে শুরু করে ৭০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। এমন দামে নাভিশ্বাস উঠেছে নিম্ন ও মধ‍্যবিত্তদের।

মঙ্গলবার (১২ মার্চ) রমজানের প্রথম দিনে রাজধানীর বেশ কয়েকটি বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। এসব বাজারে পাঙ্গাস মাছ ২০০ থেকে ২৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করতে গেছে। যা তিন দিন আগেও ১৮০ থেকে ২০০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছিল। তেলাপিয়া বিক্রি হচ্ছে ২১০ থেকে ২৩০ টাকা দরে, যা দুই দিন আগে ২০০-২১০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়েছিল।


বিজ্ঞাপন


আকারভেদে রুই, কাতল কেজিতে ৩২০ থেকে ৪০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া মৃগেল ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা, চিংড়ি ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা, শোল ৪৫০ থেকে ৫৫০ টাকা, চাষের কই ২৮০ থেকে ৩২০ টাকা, শিং মাছ ৫৫০ থেকে ৬০০ টাকা, মাগুর ৬৫০ থেকে ৭০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

দাম বাড়ার তালিকায় আছে ইলিশও। আকারভেদে জাতীয় মাছ বিক্রি হচ্ছে ৭০০ থেকে ১৪০০ টাকা কেজি দরে। ক্রেতারা বলছেন, দুই দিন আগেও যে মাছ ২৮০ থেকে ৩০০ টাকায় কিনেছেন আজ তা ৩৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

রাজধানীর মদীনাবাগ বাজারে আসা ক্রেতা রবিউল ইসলাম বলেন, ‘আমাগো দেশের একটা বাজে রীতি হচ্ছে রমজান আইলেই সব জিনিসের দাম বাইড়া যায়। এবারও তাই হইছে। রোজা ‍শুরু হতে না হতেই সব জিনিসের দাম বাড়ছে। যেই মাছ দুই দিন আগেও ৩০০ টাকা কেজি ছিল তা আজ ৩৩০ টাকা চায়।’

অপরদিকে বিক্রেতারা বলছেন, ‘আড়তে বাড়তি দামে কিনতে হচ্ছে তাই বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।’


বিজ্ঞাপন


একই বাজারের এক মাছ বিক্রেতা বলেন, ‘আমরা কী করুম, যেই দিন যেই দামে পাই সেই দামে বিক্রি করি। আজ মাছের দাম বাড়তি। তাই বাড়তি দাম নিতে হচ্ছে। দুই দিন পরে আবার দাম কইমা যাইব।’

একই চিত্র রামপুরা ও মধ্যবাড্ডা বাজারেও। রামপুরা বাজারের এক মাছ বিক্রেতা বলেন, রোজা শুরু হওয়ায় মাছ মাংসের চাহিদা বেড়ে যায়। সেজন্য দামটা একটু বেশি। তবে এই দাম থাকবে না। কয়েকদিনের মধ্যেই কমে যাবে।

মধ্যবাড্ডা বাজারে মাছ কিনতে এসেছেন রেজাউল করিম। তিনি বলেন, বাজারে যে দাম বেড়েছে এখন আর নিয়মিত মাছ খাওয়া সম্ভব হবে বলে মনে হয় না। কোনোভাবেই সমন্বয় করে চলা সম্ভব হচ্ছে না।

টিএই/এমআর

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

টাইমলাইন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর