রোববার, ১৩ এপ্রিল, ২০২৫, ঢাকা

নগরকান্দায় আ.লীগের দু'গ্রুপের সংঘর্ষ, অফিস ভাংচুর

জেলা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ১১ মে ২০২৩, ০৯:৪৭ পিএম

শেয়ার করুন:

loading/img

ফরিদপুরের নগরকান্দায় বিশেষ সভাকে কেন্দ্র করে দু'গ্রুপের দ্বন্দ্বে দলীয় কার্যালয় দখল ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে।

বৃহস্পতিবার (১১ মে)বিকালে উপজেলা সদরে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় কেউ হতাহত না হলেও এক গ্রুপ হামলা চালিয়ে দলীয় কার্যালয়ের দোতলার গ্লাস ও অফিসে থাকা আসবাবপত্র ভাংচুর করে।


বিজ্ঞাপন


জানা গেছে, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বেলায়েত হোসেন মিয়া সম্প্রতি দলীয় পদ থেকে পদত্যগ করেন। গত ৬ মে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শামীম হকের স্বাক্ষরিত পত্রে উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ন সম্পাদক এ্যাডভোকেট জামাল হোসেন মিয়া ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক পদে দায়িত্ব পান। সেই মোতাবেক জামাল হোসেন মিয়া ১১ মে বিকাল তিনটায় উপজেলা দলীয় কার্যালয়ে বিশেষ সভার আহবান করেন।

এ সভাকে অসাংগঠনিক দাবি করে ফরিদপুর-২ আসনের সাংসদ শাহদাব আকবর লাবু চৌধুরীর সমর্থকেরা সভা বানচাল করতে দুপুর থেকেই দলীয় কার্যালয়ে ও সদরের প্রবেশের বিভিন্ন সড়কে অবস্থান নেয়। বিকাল চারটার দিকে জামাল হোসেন মিয়া বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী নিয়ে দলীয় কার্যালয়ের দিকে আসার পথে কুমার নদের ব্রীজ পার হলে তার পথ রোধ করে। এসময় উভয় পক্ষের মধ্যে ইটপাটকেল নিক্ষেপ হয়। এ সময় পুলিশ শর্টগানের গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন আনেন। এক পর্যায়ে জামাল হোসেন মিয়া বাধা উপেক্ষা করে দলীয় কার্যালয় দখল করে।

অ্যাড: জামাল হোসেন মিয়া বলেন, সাংগঠনিক ভাবে জেলা কমিটি আমাকে ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব দিয়েছে। আমি দায়িত্ব পেয়ে উপজেলা কমিটির সভাপতি সহ অন্যান্য নেতাকর্মীদের সাথে আলোচনা করে সভা আহবান করেছি। এমপি শাহদাব আকবর লাবু চৌধুরীর হুকুমে কিছু নব্য আওয়ামী লীগ সভা বানচাল করতে আমাকে বাধা সৃষ্টি করে। আমার সমর্থকেরা বাধা উপেক্ষা করে দলীয় অফিসে গিয়ে শান্তিপূর্ন ভাবে সভা শেষ করে চলে এসেছি। 

সাংসদ শাহদাব আকবর লাবু চৌধুরী বলেন, দলীয় গঠনতন্ত্র মতে জেষ্ঠ পদে থাকা কোনো নেতা কনিষ্ঠ পদে ভারপ্রাপ্ত হতে পারবে না। এ বিষয়ে আমি দলীয় নেত্রীর বরাবর আবেদন করেছি। এর মধ্যেই জামাল হোসেন মিয়া কিছু সন্ত্রাসী লোক নিয়ে দলীয় অফিসে এসে অফিস ভাংচুর চালায়। এ সময় অফিসে থাকা আসবাব পত্র ভাংচুর করে। আমি এ সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।


বিজ্ঞাপন


নগরকান্দা সার্কেল অতিরিক্ত পুলিশ সুপা আসাদুল ইসলাম শাকিল জানান, একটি সভা কে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। এসময় উভয় পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ঘটনা ঘটে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে সাউন গ্রেনেড, টিয়াস সেল ও শটগানের ফাঁকা গুলি ছুড়ে উভয় পক্ষকে ছাত্রভঙ্গ করে দেয়। শর্টগান থেকে ২৪ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেছি। বর্তমানে পরিবেশ শান্ত রয়েছে।

প্রতিনিধি/ এজে

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন