ফিলিস্তিনে ইসরায়েল কর্তৃক চলমান বর্বরোচিত গণহত্যার প্রতিবাদে ও গাজার প্রতি সহমর্মিতা জানিয়ে শব্দকলা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোগে কবিতা পাঠ কর্মসূচি পালন করেছেন রাজশাহীর কবিরা।
রোববার (১৩ এপ্রিল) রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবন সংলগ্ন প্যারিস রোডে বেলা ১১টায় এ কর্মসূচি পালন করেন তারা।
বিজ্ঞাপন
এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মাঈন উদ্দীন বলেন, কবি কাজী নজরুল ইসলাম যখন বৃটিশদের বিরুদ্ধে তার কবিতার মাধ্যমে সংগ্রাম চালিয়েছিলেন তখন কিন্তু মিডিয়া এতো শক্তিশালী ছিল না কিন্তু তবুও তাকে কবিতা লিখে কারাবরণ করতে হয়েছিল। উনার যে কবিতার শক্তি ছিল তা বৃটিশদের গদিকে নাড়িয়ে দিয়েছিল। সুতরাং কবিতাও একটি প্রতিবাদের শক্তিশালী ভাষা। আমার বিশ্বাস, এই কবিতার যে প্রচণ্ড শক্তি আছে তা ইসরায়েলি দখলদার বাহিনীর গদিকে নাড়িয়ে দিবে।
শব্দকলার সভাপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের অধ্যাপক ড. মাহফুজুর রহমান আখন্দ বলেন, শব্দকলা সবসময় মানবতার পক্ষে কাজ করে। এ পর্যন্ত আমরা যত কাজ করেছি তা সবকিছুই বাংলা ভাষা, সাহিত্য ও মানবতার জন্য। ভিডিও গেমসের মত করে যেভাবে গাজা ও রাফা শহর ধ্বংস করে দেওয়া হচ্ছে তারই প্রতিবাদে আজকে আমাদের এ কবিতা পাঠের আয়োজন।
বিজ্ঞাপন
এ সময় বিদ্রোহের কবিতা পাঠের পাশাপাশি কবিরা বলেন, গাজায় ইসরায়েলি বাহিনী যে বর্বরোচিত হামলা চালাচ্ছে, তার বিরুদ্ধে আমরা আজ এই কবিতা পাঠ কর্মসূচি থেকে ইসরায়েলকে জানান দিতে চাই, ফিলিস্তিন একা নয়, তাদের পাশে বাংলাদেশসহ ছাড়া বিশ্বের সকলেই আছে। আমরা আরব রাজাদের প্রতি অত্যন্ত ঘৃণার প্রকাশ করছি, তাদের মিষ্টি মিষ্টি কথার কারণে।
এছাড়াও মানববন্ধন ও কবিতা পাঠে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক শিক্ষার্থীসহ রাজশাহীর বিভিন্ন পর্যায়ের কবি ও সাহিত্যিকরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রতিনিধি/টিবি