পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে কেন্দ্র ঘোষিত যুগপৎ আন্দোলনের অংশ হিসেবে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে বিএনপি। অপরদিকে শান্তি সমাবেশ করেছে উপজেলা আওয়ামী লীগ।
এদিকে, বিএনপি নেতাদের অভিযোগ, গাড়িবহর নিয়ে অবস্থান কর্মসূচিতে আসার পথে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা তাদের ওপর হামলা চালিয়েছে।
বিজ্ঞাপন
শনিবার (৮ এপ্রিল) সকাল ১১ টায় পৃথক স্থানে এই কর্মসূচি পালন করে উপজেলা আওয়ামী লীগ ও বিএনপি। উপজেলা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্ট প্রাঙ্গণে বিএনপি ও উপজেলা কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠের সামনে শান্তি সমাবেশ করে আওয়ামী লীগ। দুই দলের পাল্টাপাল্টি কর্মসূচিতে সতর্ক অবস্থানে ছিলো মির্জাগঞ্জ থানা পুলিশ।
উপজেলা বিএনপির আয়োজনে অবস্থান কর্মসূচিতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, কেন্দ্রীয় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আলতাফ হোসেন চৌধুরী। উপজেলা বিএনপির সভাপতি সাহাবুদ্দিন নান্নুর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসাইন ফরাজির সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন, পটুয়াখালী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মাকসুদ আহমেদ বায়েজিদ (পান্না), দেলোয়ার হোসেন নান্নু প্রমুখ।
উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসাইন ফরাজি অভিযোগ করে বলেন, কেন্দ্রীয় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আলতাফ হোসেন চৌধুরীর গাড়িবহর নিয়ে কর্মসূচিতে আসার সময় উপজেলার সুবিদখালী বাজার সংলগ্ন তিন রাস্তার মোড় এলাকায় হামলা চালায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। এতে আহত হয় তিনজন।
আহতরা হলেন, উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান হাসিনা বেগম, ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক নাজমুল মৃধা, সদস্য আল আমিন।
বিজ্ঞাপন
অপরদিকে উপজেলা আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দিন জুয়েল বেপারী, সিনিয়র সহ-সভাপতি ইসমাইল হোসেন মৃধা, সহ-সভাপতি প্রফেসর ইউনুস আলী সরদার, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান জহিরুল ইসলাম জুয়েল, শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক ফারুক খান প্রমুখ।
বিএনপির গাড়িবহরে হামলার বিষয় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দিন জুয়েল বেপারী বলেন, বিএনপির গাড়িবহরে আমাদের নেতাকর্মীরা কোনো হামলা করেনি। এটা তাদের অভ্যন্তরীণ কোন্দলে হতে পারে। শুধু শুধু আওয়ামী লীগকে দোষারোপ করছেন তারা।
মির্জাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন বলেন, দুই দলই শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি পালন করেছেন। এসময় সতর্ক অবস্থানে ছিলো পুলিশ। সমাবেশ শেষে যাওয়ার সময় একটু উত্তেজনা সৃষ্টি হলে আমরা তা নিয়ন্ত্রণে আনি। আর হামলার বিষয়ে কেউ কোনো অভিযোগও করেননি।
প্রতিনিধি/এমএইচএম