বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে মাদকবিরোধী অভিযানে ডিজিএফআই কর্মকর্তা হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় মিয়ানমারের রোহিঙ্গা বিদ্রোহী সংগঠন আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি (এআরএসএ) সংক্ষেপে আরসা’র প্রধান আতাউল্লা আবু আম্বার ওরফে জুনুনীকে আদালত থেকে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
সোমবার (৭ এপ্রিল) সকালে আতাউল্লাকে প্রথমে বান্দরবান জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক অরুণ পালের আদালতে তোলা হয়। পরে তদন্তাধীন আরেকটি মামলায় তাকে বান্দরবান জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালতের বিচারক নাজমুল হোসেনের আদালতে হাজির করা হয়। শুনানি শেষে আদালত তাকে ফের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
বিজ্ঞাপন
বিষয়টি নিশ্চিত করে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ও পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মো. আলমগীর চৌধুরী জানান, ডিজিএফআই কর্মকর্তা হত্যা মামলাসহ দুটি মামলায় প্রধান আসামি হিসেবে আতাউল্লাকে আদালতে তোলা হয়। শুনানি শেষে তাকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০২২ সালের ১৪ নভেম্বর সন্ধ্যায় নাইক্ষ্যংছড়ির তুমব্রু সীমান্তে শূন্যরেখার রোহিঙ্গা ক্যাম্প সংলগ্ন এলাকায় মাদকবিরোধী অভিযানে নামে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) ও ডিজিএফআইয়ের একটি বিশেষ দল। অভিযানের সময় রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের গুলিতে ডিজিএফআই কর্মকর্তা রিজওয়ান রশদী নিহত হন এবং র্যাব-১৫ এর কক্সবাজার ইউনিটের সদস্য সোহেল বড়ুয়া গুলিবিদ্ধ হন। এ ঘটনায় রোহিঙ্গা আশ্রয় শিবিরের এক তরুণী সাজেদা বেগম (২০) ও নিহত হন।
পরে ২০২২ সালের ২৩ নভেম্বর নাইক্ষ্যংছড়ি থানায় ডিজিএফআই কক্সবাজার কার্যালয়ের মাঠ কর্মকর্তা মো. আনোয়ার হোসেন বাদী হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করেন।
প্রতিনিধি/এফএ