রোববার, ১৬ মার্চ, ২০২৫, ঢাকা

ভুল পথে নিয়ে কিশোরীকে ধর্ষণের চেষ্টা

জেলা প্রতিনিধি, সুনামগঞ্জ
প্রকাশিত: ১৫ মার্চ ২০২৫, ১২:৪৬ এএম

শেয়ার করুন:

loading/img

সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে অটোরিকশায় তুলে ভুল পথে নিয়ে এক কিশোরীকে (১৬) ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। মেয়েটি লাফ দিয়ে অটোরিকশা থেকে নেমে নিজেকে রক্ষা করেছে। 

বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) সন্ধ্যায় সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলায় এ ঘটনা ঘটে।


বিজ্ঞাপন


শুক্রবার (১৪ মার্চ) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দিরাই থানার ওসি আব্দুর রাজ্জাক।

আহত মেয়েটিকে জেলা সদর হাসাপাতলে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁর ডান চোখ, কপাল, গাল, হাত থেতলে গেছে।

সুনামগঞ্জ ২৫০শয্যা বিশিষ্ট জেলা সদর হাসপাতালে গিয়ে দেখে গেছে, মেয়েটির মুখের ডান পাশ থেতলে আছে। ডান চোখের চারপাশ ফুলে বন্ধ হয়ে গেছে চোখ। মেয়েটির বরাত দিয়ে হাসপাতালের দায়িত্বরত এক সেবিকা বলেছেন, তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছে।

হাসপাতালে মেয়েটি জানায়, বৃহস্পতিবার দুপুরে কিছু কাপড়চোপর কেনার জন্য তারা তিনজন দিরাই পৌর শহরে আসে। অন্য দুজনের কেনাকাটা শেষ হওয়ায় তারা আগেই চলে যায়। বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে মেয়েটি কেনাকাটা শেষে বাড়িতে যাওয়ার জন্য দিরাই বাসস্ট্যান্ডে গিয়ে সেখানে দাড়ানো একটি অটোরিকশা ওঠে। সেখানে তখন মানুষের ভীড় বেশি ছিল। এ সময় আরও দুই যুবক দুই দিকে ওঠে পড়ে। এরপরই চালক অটোরিকশা চালিয়ে দেয়। কিছুদূর যাওয়ার পরই মেয়েটি দেখতে পায় অটো সুনামগঞ্জ শহরের দিকে যাচ্ছে। তখনই অটোরিকশা থামাতে বলে চালককে। এই কথা বলার পরই পাশে থাকা দুইজন তাকে ঝাপটে মুখ চেপে ধরে। মুঠোফোন কেড়ে নেয়। তখন মেয়েটি তাদের সঙ্গে ধস্তাধাস্তি শুরু করে। এভাবে ধস্তাধস্তির এক পর্যায় অটোরিকশা দিরাই-মদনপুর সড়কের গণিগঞ্জ এলাকায় আসে। এই সময় জোরে ধাক্কা দিয়ে নিজেকে কোনো রকমে ছাড়িয়ে মেয়েটি চলন্ত অটোরিকশা থেকে লাফ দিয়ে রাস্তায় পড়ে যায়।


বিজ্ঞাপন


মেয়েটির বাবা জানান, রাত নয়টার দিকে তার এক আত্মীয় ঢাকা থেকে ফোন করে জানান, তার মেয়েকে দিরাই-মদনপুর সড়কের গণিগঞ্জ এলাকায় আহত অবস্থায় সড়কের পাশে পাওয়া গেছে। সেখানে একজনের বাড়িতে রাখা হয়েছে। এরপর তারা গিয়ে মেয়েকে সুনামগঞ্জ জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। রাত ১১টায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। মেয়েটি সপ্তম শ্রেণি পর্যন্ত লেখাপড়া করেছে। বাবা কৃষক।

দিরাই থানার ওসি আবদুর রাজ্জাক বলেন, শুক্রবার বিকেল সাড়ে তিনটায় সুনামগঞ্জ শহর থেকে একজন শিক্ষক ফোনে আমাকে বিষয়টি জানিয়েছেন। এর আগে কেউ জানায়নি। আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছি।

প্রতিনিধি/এজে

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর