রোববার, ১৬ মার্চ, ২০২৫, ঢাকা

আওয়ামী জাহিলিয়াত আর যেন ফিরে না আসে: জামায়াত আমির

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১৫ মার্চ ২০২৫, ১১:৪০ পিএম

শেয়ার করুন:

loading/img

রাজনৈতিক, পেশাজীবী, শিক্ষাবিদ, কবি-সাহিত্যিক, ডাক্তার, সাংবাদিক, গবেষক, ব্যবসায়ী ও সমাজের বিভিন্ন স্তরের অংশীজনদের সম্মানে ইফতার মাহফিলের আয়োজন করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী।

শনিবার (১৫ মার্চ) বাংলাদেশ চীন মৈত্রী আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এই ইফতার মাহফিলের আয়োজন করে দলটি।


বিজ্ঞাপন


ইফতারের পূর্ব সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ছাত্র-জনতার রক্তের বিনিময়ে ফ্যাসিস্ট সরকারের কবল থেকে মুক্ত পরিবেশে ইফতার মাহফিলে উপস্থিত হতে পেরে মহান আল্লাহর দরবারে শুকরিয়া আদায় করছি।

তিনি বলেন, আমাদের আহ্বানে সাড়া দিয়ে এই ইফতার মাহফিলে যারা শরিক হয়েছেন আমি তাদের সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি এবং দুনিয়া ও আখিরাতের কল্যাণ কামনা করছি। আপনাদের ধন্যবাদ জানানোর কোনো ভাষা আমি খুঁজে পাচ্ছি না। 

জামায়াত আমির বলেন, জামায়াতের শীর্ষ পাঁচ নেতাকে বিচারের নামে প্রহসন করে হত্যা করা হয়েছে। আরও ছয়জন নেতাকে কারাগারে বন্দি রেখে বিনা চিকিৎসায় মৃত্যুবরণ করতে বাধ্য করেছে।

শফিকুর রহমান বলেন, ৫ আগস্টের পরে জাতি মুক্তি পেয়েছে। জেলখানা থেকে অনেকেই মুক্তি পেয়েছে। কিন্তু আমাদের প্রিয় নেতা আজহার ভাই মিথ্যা মামলায় এখনো জেলখানায় অমানবিক যন্ত্রণা ভোগ করছেন। অবিলম্বে তাকে মুক্তি দেওয়া হোক। আর যেন আইনের মারপ্যাঁচে তাকে বন্দি করে রাখা না হয়। আমাদের আজহারুল ইসলাম ভাইকে অবিলম্বে আমাদের মাঝে যেন ফিরিয়ে দেওয়া হয়, এই কামনা করি। 


বিজ্ঞাপন


জামায়াত আমির বলেন, ‘বিগত জালেম সরকার অনেকের হাত, পা ভেঙে দিয়েছে। চোখ তুলে ফেলেছে। বাড়ি থেকে বিতাড়িত করা হয়েছে। অনেকের ঘরবাড়ি গুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এই আওয়ামী জাহিলিয়াত আর যেন দেশে ফিরে না আসে।’

jamat

শফিকুর রহমান বলেন, আমি সম্মানের সঙ্গে স্মরণ করছি ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানে যারা জীবন দিয়েছেন ও আহত হয়েছেন তাদেরকে। মহান রাব্বুল আলামিন নিহতদের শহীদ হিসেবে কবুল করুন ও আহতদের দ্রুত সুস্থতা দান করুন। 

ইফতার মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট জয়নাল আবেদীন, খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা মামুনুল হক, হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের নায়েবে আমির মাওলানা জুনায়েদ আল হাবিবী, খেলাফত আন্দোলনের নায়েবে আমির মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী, খেলাফত আন্দোলনের মহাসচিব মাওলানা হাবিবুল্লাহ মিয়াজী, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মুনির হোসাইন কাসেমী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব অধ্যক্ষ ইউনুস আহমদ, কৃষক শ্রমিক জনতা পার্টির সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী, গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর ও সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান, জাতীয় নাগরিক পার্টির সদস্য সচিব আখতার হোসেন, দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ ও যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক আবদুল হান্নান মাসউদ, জাগপার চেয়ারম্যান রাশেদ প্রধান, ন্যাপের চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গাণি, লেবার পার্টির সভাপতি ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার, ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক আন্দোলনের চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ, এনপিপির চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট ফরিদুজ্জামান ফরহাদ ও কল্যাণ পার্টির মহাসচিব আবু হানিফ প্রমুখ। এছাড়া পেশাজীবী, শিক্ষাবিদ, কবি-সাহিত্যিক, ডাক্তার, সাংবাদিক, গবেষক, ব্যবসায়ী ও সমাজের বিভিন্ন স্তরের অংশীজন উপস্থিত ছিলেন। 

জামায়াত নেতৃবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- মুজিবুর রহমান, মাওলানা আ ন ম শামসুল ইসলাম, মিয়া গোলাম পরওয়ার, মাওলানা এটিএম মা’ছুম, রফিকুল ইসলাম খান, হামিদুর রহমান আযাদ, আবদুল হালিম, অ্যাডভোকেট মোয়াজ্জেম হোসাইন হেলাল, অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব যোবায়ের, অ্যাডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ, আব্দুর রব, সাইফুল আলম খান মিলন, মুবারক হোসাইন, নূরুল ইসলাম বুলবুল ও মুহাম্মাদ সেলিম উদ্দিন প্রমুখ। 

শহীদ আবু সাঈদের দুই ভাই রমজান আলী ও আলী হোসেন এবং জামায়াত-শিবিরের শহীদ ও মাজলুম নেতাদের পরিবারের সদস্যগণ এবং ২৪ এর গণঅভ্যুত্থানের বেশ কয়েকটি শহীদ পরিবারের সদস্যরাও ইফতার মাহফিলে অংশগ্রহণ করেন।

এমই/এমআর

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

এই ক্যাটাগরির আরও খবর