মাগুরার সেই শিশুটির মৃত্যুর পর ধর্ষণের অভিযোগে করা মামলার আসামিদের বাড়িতে দ্বিতীয় দফায় ভাঙচুর চালিয়েছেন স্থানীয় লোকজন।
শুক্রবার (১৪ মার্চ) সকালে মাগুরা শহরের নিজনান্দুয়ালী এলাকায় হিটু শেখের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, বাড়ি ভাঙচুর, বাড়ির ইট খুলে নেওয়া ও গাছ কেটে নেওয়ার দৃশ্য।
বিজ্ঞাপন
সরেজমিনে দেখা যায়,দেয়াল ভাঙছেন এবং নানা ধরনের গালাগালি করছেন। স্থানীয়রা বাড়ির আঙিনায় থাকা আম গাছসহ প্রায় ১২টি ফলজ গাছ কেটে ফেলেন।
প্রতিবেশী রিমন মিয়া জানান, ওই বাড়িতে আধা পাকা দুটি ঘর ছিল। একটি ঘরে পাশাপাশি তিনটি কক্ষ এবং আলাদা একটি এক কক্ষের ঘর। ঘরের ইট ও টিন খুলে নেওয়া হয়েছে।
তিনি জানান সেখানে মা, দুই সন্তান, এক পুত্রবধূ ও স্ত্রীকে নিয়ে থাকতেন মামলার মূল অভিযুক্ত (শিশুটির বোনের শ্বশুর) হিটু শেখ। ঘটনার পর হিটু শেখ, তাঁর স্ত্রী ও দুই ছেলেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
এরপর ওই বাড়িতে হিটু শেখের বৃদ্ধা মা একাই বসবাস করছিলেন। তবে গতকাল দুপুরের পর তাঁকে আর ওই বাড়িতে দেখা যায়নি। তিনি কোথায় আছেন, সে বিষয়েও এলাকার লোকজন কোনো তথ্য দিতে পারেননি।
বিজ্ঞাপন
এর আগে, বৃহস্পতিবার রাতে শিশুটির প্রথম জানাজার পর বিক্ষুব্ধরা হিটু শেখের বাড়িতে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেন। এ সময় ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা খবর পাওয়ার পরও আগুন নেভাতে ব্যর্থ হন। বিক্ষুব্ধরা অগ্নিনির্বাপণ কর্মীদের আটকে রেখে ফেরত পাঠিয়ে দেয়।
মাগুরা সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আইয়ুব আলী বলেন, শিশু ধর্ষণে অভিযুক্ত হিটু শেখের বাড়িতে অগ্নিকাণ্ডের খবর পাওয়ার পর পুলিশ কয়েক দফা সেখানে যাওয়ার চেষ্টা করলেও বিক্ষুব্ধদের প্রতিরোধের মুখে সেটি সম্ভব হয়নি। তবে গ্রামের নিরীহ সাধারণ মানুষের জানমালের যাতে কোনো ক্ষয়ক্ষতি না হয় সেদিকে নজর রাখা হচ্ছে।
প্রতিনিধি/ এজে