কুমিল্লার লালমাইয়ে চিপস কিনে দিয়ে একজন বাকপ্রতিবন্ধী তরুণীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় পুলিশ জাহাঙ্গীর (৩৫) নামে একজনকে গ্রেফতার করেছে।
উপজেলার বাগমারা দক্ষিণ ইউনিয়নে একটি নির্মাণাধীন ভবনে এ ঘটনা ঘটে। লালমাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহ আলম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
বিজ্ঞাপন
গ্রেফতার জাহাঙ্গীর উপজেলার বাগমারা দক্ষিণ ইউনিয়নের পোহনকুচা গ্রামের মৃত আরব আলীর ছেলে।
ভুক্তভোগী তরুণীকে মেডিক্যাল চেকআপের জন্য শনিবার (৮ মার্চ) কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হবে।
ধর্ষিতার খালা বলেন, আমার বোনের মেয়ে শারীরিক ও বাক প্রতিবন্ধী। সে প্রতিদিন সকালে বাড়ির পাশের রাস্তায় হাঁটাহাঁটি করে। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৭টার পরে বাড়ি থেকে বের হলে জাহাঙ্গীর তাকে সড়কের পাশের দুলালের দোকানে নিয়ে চিপস কিনে দেন। পরে তাকে একটি নির্মীয়মাণ ভবনের লেবার রুমে নিয়ে যান। বিষয়টি জানতে পেরে আমি সকাল ৮টায় ওই লেবার রুমে গিয়ে দেখি জাহাঙ্গীর ও বাহার মিয়া প্রতিবন্ধীকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করছে। অপ্রীতিকর অবস্থায় দেখে আমি বাহার মিয়াকে চড়-থাপ্পড় দিই। তখন জাহাঙ্গীর ও বাহার মিয়া পালিয়ে যায়।
লালমাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহ আলম বলেন, প্রতিবন্ধী তরুণীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় থানায় মামলা রুজু হয়েছে। মামলার ১ নম্বর আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ভুক্তভোগীকে মেডিকেল চেকআপের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
প্রতিনিধি/এজে