চুয়াডাঙ্গা শহরের হাসপাতাল সড়কের জনতা ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে লাইসেন্স না থাকার অপরাধে সিলগালা এবং পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
রোববার (২ মার্চ) দুপুরে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগ যৌথ অভিযানে এ ব্যবস্থা নেয়।
বিজ্ঞাপন
এছাড়াও, ওই ক্লিনিকে সম্প্রতি দুই রোগীর মৃত্যুর ঘটনায় দুটি পৃথক তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে বলে জানিয়েছেন চুয়াডাঙ্গার সিভিল সার্জন ডা. হাদী জিয়া উদ্দীন আহমেদ।
অভিযান সূত্রে জানা যায়, চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের সামনে ট’বাজারে অবস্থিত জনতা ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে গত ৯ ফেব্রুয়ারি একজন প্রসূতি এবং ১৮ ফেব্রুয়ারি জরায়ু অপারেশনের পরে আরেকজন রোগী মারা যান।
ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা চালায়। তবে স্বাস্থ্য বিভাগ বিষয়টি জানতে পারার পর জেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগ যৌথ অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে আরও বেরিয়ে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। অফিস সময়ে সরকারি চিকিৎসক শাসসুন্নাহার শম্পা এক প্রসূতির সিজারিয়ান অপারেশন করছিলেন, যা বিধিবহির্ভূত। এছাড়া, ক্লিনিকে প্রয়োজনীয় সংখ্যক চিকিৎসক ও নার্স ছিল না।
সিভিল সার্জন ডা. হাদী জিয়া উদ্দীন আহমেদ বলেন, ক্লিনিকটির লাইসেন্স নেই এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্রয়োজনীয় নিয়ম মানা হয়নি। তিনি আরও জানান, মাত্র একজন ডিপ্লোমা নার্স উপস্থিত ছিলেন, যেখানে কমপক্ষে আরও তিনজন নার্স থাকার প্রয়োজন ছিল।
বিজ্ঞাপন
তিনি বলেন, অপারেশন সংক্রান্ত বিধিবিধান যথাযথভাবে মেনে চলা হয়নি। লাইসেন্স না পাওয়া পর্যন্ত ক্লিনিকটি সিলগালা থাকবে এবং পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
সিভিল সার্জন আরও বলেন, কোনো সরকারি ডাক্তার অফিস সময়ে বেসরকারি ক্লিনিকে সেবা দিতে পারেন না। এখানে একজন সরকারি চিকিৎসক পাওয়া গেছে, যিনি পরিবার পরিকল্পনা বিভাগে চাকরি করেন। বিষয়টি পরিবার পরিকল্পনা দপ্তরে লিখিতভাবে জানানো হবে। দুইজন রোগীর মৃত্যুর ঘটনায় পৃথক দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে, এবং তদন্ত কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অভিযানে আরও উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. আওলিয়ার রহমান, জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুল ইসলাম সাঈফ এবং সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মেডিকেল অফিসার ডা. সাজিদ হাসান।