শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২৫, ঢাকা

উৎসবের আনন্দ চওড়া হাসিতে

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১৪ এপ্রিল ২০২৫, ০৩:২৬ পিএম

শেয়ার করুন:

উৎসবের আনন্দ  চওড়া হাসিতে

বাংলাদেশের সার্বজনীন উৎসব পহেলা বৈশাখ। ধর্ম, বর্ণ ও জাতি নির্বিশেষে এই উৎসবে সবাই সমানভাবে অংশগ্রহণ করেন। উৎসবের আনন্দ সবাই নানাভাবে করেন। উৎসবে ভালো কিছু ক্রয় করে ক্রেতা যেমন খুশি হন তেমনি বেশি বিক্রিতে ব্যবসায়ীও আনন্দ পান। এবার পহেলা বৈশাখে চিড়িয়াখানা রোডের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের মুখে বিক্রির ধুমের চওড়া হাসি দেখা গেছে।

‘আমরা বসন্ত, ঈদ, বৈশাখের কোনো কিছুতেই কোথাও যাই না। কিন্তু এসব দিনে অন্য দিনের তুলনায় বেচাকেনা বেশি হয় এতেই আমাদের আনন্দ লাগে। আমরা চাই প্রতিদিন এমন বেচাকেনা হোক তাহলে প্রতিদিনই আমাদের উৎসব হবে।’ এসব কথা বলছিলেন কোমল পানীয় ও আইসক্রিম ব্যবসায়ী জুয়েল রানা।


বিজ্ঞাপন


সরেজমিনে দেখা যায়, পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে ঢাকাবাসীর একটা বড় অংশ পরিবার নিয়ে চিড়িয়াখানায় এসেছেন। এদিকে তাপমাত্রা বেশি থাকায় বেশিরভাগ দর্শনার্থী ও অভিভাবকদের কোমল পানীয় এবং আইসক্রিম কিনতে দেখা গেছে। এছাড়া বাচ্চাদের বায়নায় অনেকে আচার, ফুল, শরবত, সিঙ্গারা, বাদাম ও মুখরোচক খাবার কিনছেন।

জুয়েল রানা আরও বলেন, স্বাভাবিকভাবে সারাদিনে আমাদের বেচাকেনা হয় ৫০০ থেকে ৭০০ টাকার। কিন্তু আজ দুপুরের আগেই ১ হাজার টাকার বেচাকেনা হয়েছে। সারাদিনে ২ হাজার টাকার বেশি বেচাকেনা হবে বলে আশা করছি। আমাদের মূল আনন্দ বেচাকেনায়।

তরিকুল ইসলাম নামের একজন শরবত বিক্রেতা বলেন, গরম পড়লে ব্যবসা ভালো হয়। আজকে গরমও পড়েছে আবার পহেলা বৈশাখ। সব মিলিয়ে ভালো দিন। সকাল থেকেই ভালো বিক্রি হচ্ছে। আশা করি সারাদিনে ভালো আয় হবে। অন্যান্য দিনে এত বেশি বেচাকেনা হয় না। 


বিজ্ঞাপন


ফ্লাওয়ার ক্রাউন বিক্রেতা আরিফ ইসলাম বলেন, আমাদের স্বাভাবিক দিনে বেচাকেনা খুব কম হয়। তবে উৎসবের দিন হলে সেটা কয়েকগুণ বেড়ে যায়। আজ পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে সকাল থেকে ফুলের ক্রাউনের ব্যাপক চাহিদা ছিল। যতগুলো ক্রাউন নিয়ে এসেছি তার বেশিরভাগই শেষ। আজকের মতো বেচাকেনা প্রতিদিন হলে সেটাই আমাদের উৎসব হবে। 

পরিবার নিয়ে এসেছেন তাজিন আহমেদ। তিনি বলেন, এখানে আসার পর প্রচণ্ড গরম নিজেই অনুভব করছি৷ অন্যদিকে বাচ্চারা জেদ করছে আইসক্রিম খাবে বলে তাই সবার জন্য আইসক্রিম নিলাম।

৩ বন্ধু মিলে চিড়িয়াখানায় আসছেন। তাদের মধ্যে তামিম নামের এক কিশোর বলেন, আমরা সকালে স্কুলের র‍্যালিতে গেছিলাম তারপর এখানে আসছি। গরম থেকে একটু স্বস্তি পেতে কোমল পানীয় কিনেছি এক লিটার৷ বন্ধুরা মিলে খাব আর ঘুরব। 

এএসএল/এফএ

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর