শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

ঘূর্ণিঝড় দানা

বাগেরহাটে থেমে থেমে বৃষ্টি, মোংলা বন্দরে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত

জেলা প্রতিনিধি, বাগেরহাট
প্রকাশিত: ২৪ অক্টোবর ২০২৪, ১১:১৩ এএম

শেয়ার করুন:

বাগেরহাটে থেমে থেমে বৃষ্টি, মোংলা বন্দরে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত

ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’র প্রভাবে উপকূলজুড়ে দমকা হাওয়া ও বৃষ্টি হচ্ছে। হঠাৎ বৃষ্টিতে শুরু হওয়াতে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।

বুধবার (২৩ অক্টোবর) রাত থেকেই জেলার মোংলা, রামপাল, শরণখোলা ও মোরেলগঞ্জ উপকূলীয় এই চার উপজেলায় গুমোট আবহাওয়া বিরাজ করছে। দমকা হাওয়া সঙ্গে মাঝে মাঝেই ঝড়-বৃষ্টি হচ্ছে।


বিজ্ঞাপন


মংলা আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. হারুন অর রশিদ জানান, পূর্ব মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’ আরও পশ্চিম-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হয়ে একই এলাকায় অবস্থান করছে। এটি আরও ঘনীভূত হতে পারে। ফলে মোংলাসহ সব সমুদ্রবন্দরকে স্থানীয় ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

তিনি আরও জানান, সকাল ৬টার পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী ঘূর্ণিঝড় দানা মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৪৮৫ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছে।

মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের বোর্ড ও গণসংযোগ বিভাগের উপসচিব মো. মাকরুজ্জামান জানান, ৩ নম্বর সতর্ক সংকেতের মধ্যেও মোংলা সমুদ্রবন্দরের কার্যক্রম স্বাভাবিক রয়েছে। তবে ঘূর্ণিঝড় দানার খবর ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য একটি নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলা হয়েছে। বন্দরে অবস্থানরত সকল প্রকার বাণিজ্যিক জাহাজসহ বন্দরের নিজস্ব নৌযানগুলোকে নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। তবে বন্দরে অবস্থানরত আটটি জাহাজে সার, কয়লা ও ক্লিংকারসহ বেশ কয়েক প্রকার পণ্য খালাসের কাজ স্বাভাবিক রয়েছে। বন্দরে এখন নিজস্ব ১ নম্বর অ্যালার্ট চলছে, ৩ পর্যন্ত বন্দরের কার্যক্রম স্বাভাবিক থাকবে।

অপরদিকে, জেলা প্রশাসক ঘূর্ণিঝড় দানার মোকাবিলায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভা করেছেন জেলা প্রশাসক। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের (ইউএনও) প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। নদী তীরবর্তী ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার বাসিন্দাদের জন্য ৩৫৯টি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে।


বিজ্ঞাপন


বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক (ডিসি) আহমেদ কামরুল হাসান বলেন, উপকূলীয় এই জেলার মোংলা, মোরেলগঞ্জ, শরণখোলা ও রামপাল উপজেলা সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা। আমরা দানা মোকাবিলায় সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছি। এছাড়া ইউএনওদের প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

ডিসি আরও বলেন, উপকূলের মানুষদের নিরাপদে সরিয়ে নিতে জেলায় ৩৫৯টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছে। জেলায় ৮০০ মেট্রিকটন চাল, নগদ ১৫ লাখ টাকা বরাদ্দ রয়েছে। এছাড়া শিশুখাদ্যের জন্য ৫ লাখ ও গো-খাদ্যের জন্য ৫ লাখ টাকা নগদ বরাদ্দ রাখা হয়েছে। মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে নেওয়ার জন্য ৩ হাজার ৫০৫ স্বেচ্ছাসেবক নিয়োজিত রয়েছে।

প্রতিনিধি/টিবি

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

টাইমলাইন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর