সম্প্রতি খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটি জেলায় ঘটে যাওয়া সহিংসতার ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটি ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করে তদন্ত কাজ শুরু করেছে।
রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে খাগড়াছড়ি দীঘিনালা উপজেলার লারমা স্কয়ার বাজারে সহিংসতার ঘটনায় পুড়ে যাওয়া বাজার পরিদর্শন করেন। এবং ক্ষতিগ্রস্ত পাহাড়ি বাঙালি ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলেন।
বিজ্ঞাপন
এসময় চট্টগ্রাম অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন) ও তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক মোহাম্মদ নুরুল্লাহ্ নূরীসহ তদন্ত কমিটির অন্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন৷
পরিদর্শন শেষে চট্টগ্রাম অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার ও তদন্ত কমিটির প্রধান মোহাম্মদ নুরুল্লাহ্ নূরী বলেন, আমরা ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করে তদন্ত কাজ আজ থেকে শুরু করেছি। আমরা ক্ষতিগ্রস্ত বাজার ব্যবসায়ী, প্রত্যক্ষদর্শী, সুশীল সমাজ, স্থানীয় নেতৃবৃন্দ ও হতাহত পাহাড়ি-বাঙালিদের সঙ্গে কথা বলব।
এসময় গঠিত তদন্ত কমিটির প্রধান ও আহ্বায়ক করা হয়েছে চট্টগ্রামের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন) মোহাম্মদ নূরুল্লাহ নূরী সহ খাগড়াছড়ি, রাঙামাটি ও বান্দরবানের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, দীঘিনালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।
আগামী ১৪ কার্য দিবসের মধ্যে তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন জমা দেওয়ার কথা রয়েছে জানিয়েছেন তদন্ত কমিটির প্রধান।
প্রসঙ্গত, গত ১৮ সেপ্টেম্বর বুধবার খাগড়াছড়ি সদরের নিউজিল্যান্ড পাড়ায় গণপিটুনিতে মো. মামুন নামে এক যুবক নিহত হয়। মামুনকে পিটিয়ে হত্যার প্রতিবাদে পরের দিন বৃহস্পতিবার বিকেলে দীঘিনালায় সাধারণ শিক্ষার্থীর ব্যানারে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। বিক্ষোভ মিছিলের এক পর্যায়ে দীঘিনালার লারমা স্কয়ার বাজারে দুর্বৃত্তের ঘটনায় এলাকায় আগুন দেওয়া হয় লারমা স্কয়ার বাজারে। এতে পুড়ে যায় পাহাড়ি-বাঙালির ৮৪টি দোকান ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান।
এ ঘটনার জেরে খাগড়াছড়ি সদর, দীঘিনালা ও রাঙামাটিতে উভয় পক্ষের সংঘর্ষে ৪ জনের মৃত্যু হয়। আহত অনেকে।
প্রতিনিধি/এসএস