ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের তৃতীয় ধাপে নোয়াখালীর সদর, বেগমগঞ্জ ও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় ভোটগ্রহণ চলছে। এরই মাঝে কোম্পানীগঞ্জ চেয়ারম্যান প্রার্থী গোলাম শরিফ চৌধুরী পিপুলের একজন সমর্থককে মেরে মাথা ফাটিয়ে দিয়েছেন ওপর প্রার্থী মিজানুর রহমান বাদলের সমর্থকেরা।
বুধবার (২৯ মে) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার চরএলাহী ইউনিয়নে চরএলাহী বাজারে এ ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী আবদুল আজিজ চর এলাহী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবদুর রাজ্জাকের বড় ভাই। বর্তমানে তিনি কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
বিজ্ঞাপন
চর এলাহী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবদুর রাজ্জাক অভিযোগ করে বলেন, আমার বড় ভাই আবদুল আজিজসহ আমরা সবাই উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী গোলাম শরিফ চৌধুরী পিপুলের সমর্থক। আজকে আমরা সবাই তার আনারসে ভোট করছি। আমার ভাই আনারসের ভোট চাওয়ায় মিজানুর রহমান বাদলের সমর্থকেরা মেরে মাথা ফাটিয়ে দিয়েছেন। আমরা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে এসেছি।
চেয়ারম্যান প্রার্থী গোলাম শরিফ চৌধুরী পিপুল ঢাকা বলেন, বিভিন্ন স্থানে আমার প্রতিদ্বন্দ্বী দোয়াত কলমের প্রার্থী মিজানুর রহমান বাদলের সমর্থকেরা আমার সমর্থকদের মারছেন। আবদুল আজিজ আমাদের বড় ভাই। তাকে এভাবে মেরে তারাই গুজব ছড়াচ্ছে। আমরা বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তপক্ষের কাছে জানিয়েছি।
এ বিষয়ে দোয়াত কলমের প্রার্থী মিজানুর রহমান বাদলের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল দিলেও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
বিজ্ঞাপন
রিটার্নিং কর্মকর্তা ও অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ ইসমাঈল বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। আমরা যেখানেই খবর পাচ্ছি সেখানে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করছি। অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে সব জায়গায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তৎপরতা রয়েছে।
প্রসঙ্গত, ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের তৃতীয় ধাপে নোয়াখালীর সদর, বেগমগঞ্জ ও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় চলছে ভোটগ্রহণ।
বুধবার (২৯ মে) সকাল ৮টায় তিনটি উপজেলার ৩৭টি ইউনিয়নের ৩৫৭টি কেন্দ্রে ব্যালট পেপারের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। তিনটি উপজেলায় ভোটাধিকার প্রয়োগ করবে ১২ লাখ ৭ হাজার ৫৮২ জন। এদিকে নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করার জন্য পর্যাপ্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন রয়েছে। এতে উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ১৩ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১৩ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৯ জন প্রার্থী ভোটযুদ্ধে লড়ছেন।
প্রতিনিধি/এসএস