বুধবার, ১৬ এপ্রিল, ২০২৫, ঢাকা

১০ গুণ বেশি টাকায় ক্লিনিকে ডেঙ্গু পরীক্ষায় বাধ্য হচ্ছেন রোগীরা

জেলা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ০৪ আগস্ট ২০২৩, ০৩:৪০ পিএম

শেয়ার করুন:

loading/img

কিট সংকটে দুই সপ্তাহ ধরে বরিশালের মুলাদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ডেঙ্গু পরীক্ষা বন্ধ রয়েছে। এই সুযোগে ডেঙ্গু পরীক্ষায় সরকারি হাসপাতালের ফি’র চেয়ে ১০ গুণেরও বেশি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ মিলেছে স্থানীয় ক্লিনিকগুলোর বিরুদ্ধে।

এদিকে, কিটের সরবরাহ না থাকায় এখনই ডেঙ্গু পরীক্ষা করা সম্ভব হচ্ছে না বলে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে। এমনকি কবে নাগাদ মুলাদীতে কিট পৌঁছাবে তা-ও বলতে পারছেন না স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা। এতে চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন স্থানীয় রোগীরা।


বিজ্ঞাপন


জানা গেছে, চলতি মৌসুমে অন্যান্য জেলার মতো বরিশালেও ডেঙ্গু প্রকোপ বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে শতভাগ সেবা নিশ্চিতে চিকিৎসকরা সাধারণ জ্বরের ক্ষেত্রেও রোগীদের ডেঙ্গু পরীক্ষার পরামর্শ দিচ্ছেন। তবে জুলাই মাসে মুলাদী উপজেলায় সাধারণ জ্বর ও ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা অত্যধিক হারে বৃদ্ধি পাওয়ায় তারা সরকারি হাসপাতাল থেকে শতভাগ সেবা প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। এর কারণ, কিট সংকটে মুলাদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দুই সপ্তাহ ধরে ডেঙ্গু পরীক্ষা বন্ধ রয়েছে।Dengueকিট না থাকায় রোগীরা বাধ্য হয়েই তাই ডেঙ্গু পরীক্ষার জন্য স্থানীয় ক্লিনিকগুলোতে ছুটছেন। আর এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ ডেঙ্গু জ্বরের ক্ষেত্রে চার ধরণের পরীক্ষায় এক হাজার টাকা নিচ্ছেন। যেখানে মুলাদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মাত্র ১শ’ টাকায় ডেঙ্গু পরীক্ষা করতে পারতেন রোগীরা। ফলে বিষয়টি নিয়ে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ভুক্তভোগীরা। সেই সঙ্গে অবিলম্বে কিট সরবরাহের দাবি জানিয়েছেন তারা।

মুলাদীর সফিপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা রেজাউল সিকদার জানান, সপ্তাহ দুই আগে মুলাদী হাসপাতালে ডেঙ্গু পরীক্ষার জন্য গিয়েও ফিরে এসেছি। হাসপাতাল থেকে জানানো হয়েছে কিট নেই। তাই বাধ্য হয়ে স্থানীয় ক্লিনিকে গিয়ে এক হাজার টাকায় পরীক্ষা করিয়েছি। সরকার আমাদের জন্য মাত্র ১শ’ টাকায় পরীক্ষার সুযোগ দিলেও সেই সেবা পেলাম না।Barishalইয়াসিন মিয়া নামে ডেঙ্গু রোগীর এক স্বজন বলেন, হাসপাতালে ডেঙ্গু পরীক্ষার কিট নেই, তা মেনে নেওয়া যায় না। একজন রোগীকে নিয়ে হাসপাতালে আসাই কষ্টের। সেখানে ডেঙ্গু পরীক্ষা করতে না পেরে ফের হাসপাতাল থেকে ক্লিনিকে নিয়ে যাওয়ায় রোগীদের দুর্ভোগ বৃদ্ধি পায়। তাই শতভাগ সেবা নিশ্চিতের জন্য অবিলম্বে কিটের সরবরাহ নিশ্চিতের দাবি জানাচ্ছি।

এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা সাইয়েদুর রহমান জানান, আমরা ডেঙ্গু পরীক্ষার কিটের জন্য চাহিদাপত্র পাঠিয়েছি। কিট হাসপাতালে পৌঁছালেই আবারও পরীক্ষা কার্যক্রম শুরু হবে। তবে কবে নাগাদ এই কিট পৌঁছাবে সে বিষয়ে নিশ্চিত করে কিছু বলতে পারেননি তিনি।

সার্বিক বিষয়ে শুক্রবার (৪ আগস্ট) দুপুরে বরিশালের সিভিল সার্জন ডা. মারিয়া হাসানের সঙ্গে কথা হলে ঢাকা মেইলকে তিনি জানান, জেলার ডেঙ্গু পরীক্ষার চাহিদা তৈরি করে দুটি দফতরে পাঠিয়েছি। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ আমাদের বলেছেন, ‘দ্রুত সময়ের মধ্যে কিট পৌঁছে যাবে’। তবে কতদিনে কিট পৌঁছাবে তা বলা যাচ্ছে না।


বিজ্ঞাপন


প্রতিনিধি/আইএইচ

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন


News Hub