শনিবার, ২২ মার্চ, ২০২৫, ঢাকা

টানা তৃতীয় দিনের মতো বায়ু দূষণে শীর্ষে ঢাকা

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৯:৫২ এএম

শেয়ার করুন:

টানা তৃতীয় দিনের মতো বায়ু দূষণে শীর্ষে ঢাকা
ঢাকার বায়ু দূষণ ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে। ছবি: সংগৃহীত

বায়ু দূষণে ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে রাজধানী ঢাকা। টানা তৃতীয় দিনের মতো এই মেগা সিটে সারা বিশ্বে বায়ু দূষণে শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে।

মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে আটটার দিকে আইকিউ এয়ারের মানসূচকে ঢাকার গড় বায়ুর মান ২৪৮, যা ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে গণ্য।


বিজ্ঞাপন


এর আগে রোব ও সোমবারের সকালেও ঢাকা বায়ু দূষণে বিশ্বের শীর্ষে ছিল।

মঙ্গলবার ২৪৪ স্কোর নিয়ে বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে কিরগিজস্তানের রাজধানী বিশকেক। ২৩৬ স্কোর নিয়ে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে ইরাকের রাজধানী বাগদাদ, ২১৮ স্কোর নিয়ে চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে ভারতের দিল্লি এবং পঞ্চম অবস্থানে থাকা গণতান্ত্রিক কঙ্গো প্রজাতন্ত্রের রাজধানী কিনশাসার স্কোর ২১২।

একিউআই স্কোর শূন্য থেকে ৫০ ভালো হিসেবে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০ মাঝারি হিসেবে গণ্য করা হয়, আর সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর বিবেচিত হয় ১০১ থেকে ১৫০ স্কোর। স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে তাকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ বায়ু বলে মনে করা হয়।  ২০১ থেকে ৩০০-এর মধ্যে থাকা একিউআই স্কোরকে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ বলা হয়।

আরও পড়ুন

বায়ুদূষণ পর্যবেক্ষণে বাংলাদেশকে ৮৩৫ মিলিয়ন ইয়েন অনুদান দেবে জাপান

দূষণের বিরুদ্ধে অ্যাকশন, এক মাসে জরিমানা ৯ কোটি

বাতাসের গুণমান সূচক (একিউআই) দিয়ে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে বায়ু পরিস্থিতি নিয়মিত তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার। তাদের তালিকায় বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস। বেশি মাত্রার দূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদ্‌রোগ এবং দীর্ঘ মেয়াদে ক্যানসারের মতো মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।

দীর্ঘদিন ধরে বায়ুদূষণে ভুগছে ঢাকা। এর বাতাসের গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায় এবং বর্ষাকালে কিছুটা উন্নত হয়। ২০১৯ সালের মার্চে পরিবেশ অধিদফতর ও বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ঢাকার বায়ুদূষণের তিনটি প্রধান উৎস হলো—ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণ সাইটের ধুলো।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) অনুসারে, বায়ুদূষণের ফলে স্ট্রোক, হৃদরোগ, ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ, ফুসফুসের ক্যানসার এবং তীব্র শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণের কারণে মৃত্যুহার বৃদ্ধি পেয়েছে। এর ফলে বিশ্বব্যাপী প্রতি বছর আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষ মারা যায়।

জেবি

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর